একের পর এক ৬টা ভূমিকম্প। যার মধ্যে একটি কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.১। শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে বিধ্বস্ত তিব্বত। ভূকম্পে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। তিব্বতে ভূমিকম্পের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৬। জখম আরও অনেকে। মঙ্গলবার সকালে ভূমিকম্পের ফলে কেঁপেছে ভারত, নেপাল, ভুটানও।
অন্য দিকে, গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত নেপাল-তিব্বত সীমান্তে জিজাং এলাকায় কমপক্ষে ২০টি কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে প্রতিটি কম্পনের তীব্রতা ৩.৯ থেকে ৫। আজ সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪. জোরালো ভূকম্পের পর যে কম্পনগুলি অনুভূত হয়, তা আফটারশক নামে পরিচিত।
জানা গিয়েছে, তিব্বতে কম্পনে ১৮৮ জনেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিব্বতের টিংরি কাউন্টি, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ অঞ্চল বরাবর অবস্থিত, শক্তিশালী ভূমিকম্পের কার্যকলাপের জন্য অপরিচিত নয়। এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পে উৎসস্থলের কাছে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ডিংরি কাউন্টি ও তার সংলগ্ন এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার সকালে ভূমিকম্পের জেরে ভারতের বিভিন্ন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি-এনসিআর এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিহারের বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।কলকাতায় সাতসকালে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও টের পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মালদা-সহ বিভিন্ন জেলায় কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।