Elon Trump Clash: ট্রাম্প-মাস্কের মতভেদ মিটল? এপস্টিন ফাইল নিয়ে পোস্ট মুছলেন টেসলা কর্তা

বিস্ফোরক দাবি করে ফের আলোচনার কেন্দ্রে ইলন মাস্ক। তবে বিতর্কিত পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের টুইট মুছে ফেললেন। আলোচ্য পোস্টে ইলন মাস্ক দাবি করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম এপস্টিন ফাইলের নথিতে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা হিসাবে বেশ কুখ্যাত ও বিতর্কিত এই এপস্টিন ফাইল।

Advertisement
ট্রাম্প-মাস্কের মতভেদ মিটল? এপস্টিন ফাইল নিয়ে পোস্ট মুছলেন টেসলা কর্তাবিতর্কিত পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের টুইট মুছে ফেললেন।

বিস্ফোরক দাবি করে ফের আলোচনার কেন্দ্রে ইলন মাস্ক। তবে বিতর্কিত পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের টুইট মুছে ফেললেন। আলোচ্য পোস্টে ইলন মাস্ক দাবি করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম এপস্টিন ফাইলের নথিতে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যৌন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা হিসাবে বেশ কুখ্যাত ও বিতর্কিত এই এপস্টিন ফাইল।

তবে ইলন মাস্কের হঠাৎ এই পিছিয়ে আসায় অবাক অনেকেই। বিশ্লেষকদের মতে, এটি সম্ভবত ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত। কয়েকদিন আগেই একে অপরকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছিলেন তাঁরা।

গত মাসে ইলন মাস্ক 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি' (DOGE) থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে নানা ইস্যুতে তাঁর মতবিরোধ চরমে ওঠে। বিশেষত ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ তথা বাজেট বিল এবং বড় আকারের করছাড় নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক এক্সে (পূর্বে টুইটার) লেখেন, 'সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটানোর সময় হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও এপস্টিন ফাইলসে আছেন। ঠিক এই কারণেই ফাইলগুলি এখনও প্রকাশ করা হচ্ছে না। আপনার দিনটা শুভ হোক, ডেজেটি!' পোস্টটি কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিলিট করে দেন তিনি।

এরপর আরও একটি পোস্ট করেন ইলন মাস্ক। সেটিও একই ভাবে অল্প সময় পরেই মুছে ফেলেন। তাতে লেখা ছিল, 'এই পোস্টটি ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিন। সত্যিটা সামনে আসবেই।'

এই পোস্টের পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি 'বিশেষ আগ্রহী নন' মাস্কের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁর কথায়, 'মাস্ক পাগল হয়ে গিয়েছেন।'

প্রসঙ্গত, গত বছর মাস্ক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বিপুল অর্থসাহায্য করেছিলেন।

এপস্টিন ফাইলস কী?

জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত মামলার নথিগুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা জল্পনা চলছে। এই ফাইলগুলিতে আদালতের নথি, সাক্ষ্য এবং সিলমোহরবদ্ধ রেকর্ড রয়েছে। বহু পরিচিত ব্যক্তিত্বের নাম সামনে এলেও, অনেকের নাম আদালতের নির্দেশে এখনও গোপন রাখা হয়েছে।

মাস্কের এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ফের একবার নতুন করে উৎসাহ জাগিয়েছে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, এখনও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

Advertisement

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি নথিপত্র প্রকাশের পক্ষে সরব হন। তবে ততদিনে নথির বড় অংশই বিভিন্ন আদালতের রায়, পাবলিক রেকর্ড এবং ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছিল।

মাস্কের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের পুরনো ছবি

এই বিতর্কের মধ্যেই অনলাইনে ফের ভাইরাল হয়েছে এলন মাস্ক ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের একটি পুরনো ছবি। ম্যাক্সওয়েল ছিলেন এপস্টিনের দীর্ঘদিনের সঙ্গিনী ও সহযোগী। ২০২১ সালে তিনি কিশোরী পাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।

ছবিটি ২০১৪ সালের, তোলা হয়েছিল একটি হলিউড পার্টিতে। মাস্ক অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি সেই অনুষ্ঠানে ‘ফোটোবম্ব’ হয়েছেন, ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না।

২০১৮ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক রিপোর্টারে এপস্টিন নাকি দাবি করেছিলেন, তিনি মাস্ককে পরামর্শ দিতেন। সেই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন মাস্ক। তাঁর সাফ কথা, এপস্টিনের সঙ্গে তাঁর কোনও পেশাগত বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না।

POST A COMMENT
Advertisement