Elon Musk: আমেরিকায় নয়া রাজনৈতিক দল গড়লেন মাস্ক, কবে ভোটে লড়বেন? টেসলা কর্তা জানালেন...

আমেরিকার রাজনীতিতে মহানাটক। এবার নিজের রাজনৈতিক পার্টি তৈরি করে ফেললেন ইলন মাস্ক। দল ঘোষণাও করে দিলেন টেসলা কর্তা। নাম রাখলেন, 'দ্য আমেরিকা পার্টি'। তবে কি এবার ভোটেও লড়বেন তিনি? এক্স কর্তা জানালেন...

Advertisement
আমেরিকায় নয়া রাজনৈতিক দল গড়লেন মাস্ক, কবে ভোটে লড়বেন? টেসলা কর্তা জানালেন...ইলন মাস্ক
হাইলাইটস
  • নয়া রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইলন মাস্কের
  • নাম রাখলেন, 'দ্য আমেরিকা পার্টি'
  • তবে থেকে ভোটে লড়বেম টেসলা কর্তা?

ঠিক যেমনটা কথা দিয়েছিলেন, তেমনটাই করলেন। আমেরিকায় ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বিল পাস হতেই নয়া রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদা 'পরম বন্ধু' টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। তিনি যে কেবল ফাঁকা আওয়াজ দেননি, তা বোঝা গেল। বিল আইনে পরিণত হতেই সরকারি ভাবে নয়া রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন বিশ্বের সবথেকে ধনী মানুষ। দলের নাম রাখলেন, 'দ্য আমেরিকা পার্টি'।

নিজের এক্স হ্যান্ডলে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘আমেরিকার মানুষকে তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে আজ তৈরি করলাম দ্য আমেরিকা পার্টি।’ সরকারি ভাবে রাজনৈতিক দল খোলার স্পষ্ট ইঙ্গিত এক্স হ্যান্ডলে আগেই দিয়েছিলেন তিনি। একদিন আগে নেটিজেনদের কাছে টেসলা কর্তা প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, আমেরিকানরা দুই দলের এই ব্যবস্থায় খুশি না নতুন দল চান? মাস্কের সেই পোস্টে ৬৫.৪% মানুষ নতুন দল চেয়ে ভোট দিয়েছেন। আর ৩৪.৬% বলেছেন আর কোনও দল চাই না।

দল ঘোষণার পোস্টের সঙ্গেই মাস্ক বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, ‘অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করা হচ্ছে। আমরা গণতান্ত্রিক নয়, একদলীয় ব্যবস্থার শাসনে বাস করছি।’ এক নেটিজেনের প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক জানিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কবে নাগাদ তিনি ভোটে লড়বেন। নেটিজেনের প্রশ্ন ছিল, '২০২৬-এর মিড টার্ম ভোটে নাকি ২০২৪-এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে? কবে ভোটের ময়দানে দেখা যাবে এক্স কর্তাকে?' উত্তরে মাস্ক জানিয়েছেন, পরের বছরই ভোটে লড়বে আমেরিকা পার্টি।

 

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে থেকেই জল্পনায় ছিল ‘Big Beautiful Bill’ প্রসঙ্গ। সে সময়ে ইলন মাস্কও এর সমর্থন করেছিলেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে ২৭৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন টেসলা কর্তা। মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে নবনির্মিত ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (DOGE) এর প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে, বিভাগটি বাজেট কমিয়ে এবং অপ্রয়োজনীয় এজেন্সিগুলির ব্যয় বাদ দিয়ে ১৯০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে বলে দাবি। ট্রাম্পের ব্যয় বিল স্বাক্ষরের কয়েক সপ্তাহ আগে, মে মাসে তিনি DOGE থেকে পদত্যাগ করেন।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement