পাকিস্তানকে কড়া বার্তা FATF-এরকোন দেশ জঙ্গিদের জন্য টাকা খরচ করছে, সেটার দিকে নজর রাখে FATF নামক আন্তর্জাতিক এক সংস্থা। তাই এই সংস্থাকে গ্লোবাল টেরর ফান্ডিং ওয়াচডগ বলা হয়। আর ২০২২ সালের আগে পর্যন্ত এই সংস্থার নজরে ছিল পাকিস্তান। তারা এই দেশকে 'গ্রে লিস্টে' রেখেছিল। যদিও ২০২২ সালের পর এই তালিকা থেকে বেরিয়ে যায় পাকিস্তান। তারপরই হাতির পাঁচ দেখে এই পড়শি দেশ। যদিও ২০২৫ সালে এসে আবার এই সংস্থার সাবধানবাণী শুনল পাকিস্তান।
এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট এলিজা দি আন্দা মাদরাজোর মতে, গ্রে লিস্ট থেকে বেরিয়ে গেছে বলেই কিন্তু আর্থিক দুর্নীতি বা জঙ্গিদের ফান্ডিং করতে পারবে না কোনও দেশ। তাদের এই সব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
টেরর ফান্ডিং করা চলবে না
'এই গ্লে লিস্টে বর্তমানে উপস্থিত বা আগে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোনও দেশই আর্থিক দুর্নীতি বা জঙ্গিমদতের মতো বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না। তাই আমরা সব দেশকে, যারা এই লিস্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে তাদেরকেও অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।', ফ্রান্সের কনফারেন্সে উপস্থিত হয়ে এমনটাই বললেন FATF-এর প্রেসিডেন্ট।
কবে বেরিয়ে যায় পাকিস্তান?
অনেক দিন ধরেই FATF-এর গ্রে লিস্টে ছিল পাকিস্তান। জঙ্গিদের মদত দেওয়া এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। তবে ২০২২ সালে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সেই বছরের অক্টোবর মাসে তাদের এই তালিকা থেকে বের করে দেয়। এরপর দেশটি আবার নিজের পুরনো খেলা শুরু করে। নিজেদের দেশেই জঙ্গিঘাঁটি তৈরি করে। চলে প্রশিক্ষণ। তারপর ভারতে নানা উপায়ে হামলা চালায়।
আর পাকিস্তানের এহেন কার্যকলাপ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে ভারত। দেশের তরফে পাকিস্তানে ঢুকে দেওয়া হয়েছে জবাব। অপারেশন সিঁদুর করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে জঙ্গিঘাঁটি। পাশাপাশি বিশ্বের দরবারেও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের কুকীর্তি তুলে ধরার চেষ্টা চলেছে। আর সেই কাজেই এল সাফল্য। অবশেষে পাকিস্তানকে বার্তা দিল FATF। আর এটা ভারতের বিরাট জয়। অপরদিকে পাকিস্তানের হার বলেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
FATF-আরও কী জানাচ্ছে?
FATF জানিয়েছে, গ্রে লিস্টে থাকা দেশগুলির দিকে এখনও নজরদারি চালাতে হবে। কারণ, আর্থিক দুর্নীতি এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইতে ঘাটতি রয়েছে। আর জইশ-ই-মহম্মদ মহিলাদের জেহাদ শিক্ষার জন্য ডিজিটালি টাকা তুলবে ঘোষণা করার পরই এমনটা জানাল সংস্থা।