
ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) কুর্সিতে বসার পর থেকেই একের পর এক ধামাকা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে চলেছেন। এবার একেবারে আমেরিকার বিদেশ নীতিটাই রাতারাতি বদলে ফেললেন ট্রাম্প। যার নির্যাস, রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukrain War) নিয়ে রেজোলিউশনে রাশিয়া ও তার সহযোগীদের পক্ষে ভোট দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ভোটে ভারত ফের নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ভোটদানে বিরতই থাকল।
এই প্রথমবার রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল আমেরিকা
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও যুদ্ধের নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে রেজোলিউশন আনা হয়। সেই রিজোলিউশনের বিরুদ্ধেই ভোট দিল আমেরিকা। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই এই প্রস্তাবে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। এই প্রথম রাশিয়া, ইজরায়েল, উত্তর কোরিয়া ও মস্কোর ১৪টি বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও দখলদারি নিয়ে নিন্দা প্রস্তাবে সায় দিল না ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। যদিও ওই রেজোলিউশন রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাস হয়ে গিয়েছে, পক্ষে ৯৩টি ভোট ও বিপক্ষে ১৮টি ভোট পড়েছে। ৬৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে।
এতদিন ইউক্রেনের পাশেই ছিল আমেরিকা
রাষ্ট্রসঙ্ঘে আনা রেজোলিউশনে রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ইউক্রেনে হামলা ও দখল অবিলম্বে বন্ধ করার আবেদন করা হয়েছে। এতদিন ইউক্রেনের পাশেই ছিল আমেরিকা। বিশেষ করে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার এই যুদ্ধের রাশিয়ার নিন্দা করেছেন। ইউক্রেনকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই সব ওলটপালট হয়ে গেল।
ভোটদানে বিরত থাকল ভারত
ভারত ছাড়াও ভোটদানে বিরত থেকে আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, চিন, ইরান সহ ৬৫টি দেশ। এই যুদ্ধ যে রাশিয়ার আগ্রাসনেরই ফল, এখন তা মানতে নারাজ আমেরিকা। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন অনুদান ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন, 'জ়েলেনস্কির রেটিং এখন চার শতাংশে এসে ঠেকেছে।’ ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জ়েলেনস্কির মন্তব্য, ‘উনি এখন রাশিয়ার দেওয়া মিথ্যা তথ্যের মধ্যে বাস করেন। আমরা এই বিভ্রান্তি দেখেছি। আমরা বুঝি, এর উৎস রাশিয়া। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না। আমরা চাই না, আমাদের বাদ দিয়ে এ বিষয়ে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিক।’