France Youngest PM: প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পেল ফ্রান্স, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মসনদে গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল

সমকামী। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। মঙ্গলবার গ্যাব্রিয়েল অ্যাটালকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

Advertisement
প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পেল ফ্রান্স, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মসনদে গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল
হাইলাইটস
  • সমকামী। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। মঙ্গলবার গ্যাব্রিয়েল অ্যাটালকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
  • তিনিই হবেন ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রথম প্রকাশ্য সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি।
  • এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর পদে ছিলেন গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল। 

France New Prime Minister: সমকামী। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। মঙ্গলবার গ্যাব্রিয়েল অ্যাটালকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনিই হবেন ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রথম প্রকাশ্য সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর পদে ছিলেন গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল। 

গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল বরাবরই ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্নেহের পাত্র ছিলেন। কোভিড মহামারীর সময়ে সরকারের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেছিলেন সদাহাস্যময় গ্যাব্রিয়েল। সেই সময়ে বিভিন্ন সরকারি নির্দেশিকার ব্যাখা, জনসাধারণের উদ্দেশে সরকারি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলান গ্যাব্রিয়েল। আর তার দৌলতেই ফ্রান্সের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। 

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নের স্থানে দায়িত্ব নেবেন গ্যাব্রিয়েল।

সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম গ্যাব্রিয়েল। বিভিন্ন রেডিও শো এবং সংসদ- উভয়ক্ষেত্রেই তাঁর বাগ্মিতা নজর কাড়ে ফরাসি জনগণের।

'গ্যাব্রিয়েল অ্যাটালকে অনেকটা ২০১৭ সালের ম্যাক্রনের মতো বলা যেতে পারে,' মত সংসদ প্যাট্রিক ভিগনালের। কেন? কারণ ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁও আধুনিক ফরাসি ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ে ফ্রান্সে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। অল্প বয়স, দুর্দান্ত বাগ্মীতা এবং সুপুরুষ হওয়ার দৌলতে বিশ্বের নজর কাড়েন ম্যাক্রোঁ।

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে হয় তো কিছুটা জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েছে। ম্যাক্রোঁর পেনশন এবং অভিবাসন সংস্কারের নীতিতে অখুশি হয়েছেন জনগণের একাংশ। আসন্ন জুনের নির্বাচনে তার প্রভাবও পড়তে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের। তবে এমন সময়ে গ্যাব্রিয়েলের মতো এত জনপ্রিয় এক তরুণকে প্রধানমন্ত্রী করাটা এক সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে ম্যাক্রোঁর শিবির ডানপন্থী মেরিন লে পেনের দলের তুলনায় প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পয়েন্ট পিছিয়ে।

মজার বিষয়টি হল, গ্যাব্রিয়েল অ্যাটাল(৩৪) এবং ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর(৪৬) দু'জনের বয়স যোগ করলেও তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের(৮১) থেকে কম।

২০২২ সালে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পরপরই ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। তার পর থেকেই অশান্ত পার্লামেন্টে কিছুটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement