পাকিস্তান পাকিস্তানে এবার Gen Z-র বিক্ষোভ। শিক্ষায় সংস্কারের দাবিতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভও হচ্ছে। যা নিয়ে চাপে সেহবাজ শরিফের সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা জওয়ানও নামানো হয়েছে। তবে ক্রমাগত বাড়ছে বিক্ষোভ।
চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করছিলেন। তবে অজ্ঞাত পরিচয় একদল বন্ধুকধারী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যার জেরে একজন আহত হন। তারপর থেকেই আন্দোলন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। প্রতিবেদনে প্রকাশ, পুলিশের উপস্থিতিতেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
এরপরই রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা। চলে ভাঙচুরও। শেহবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকেস সরে যাওয়ার আহ্বানও জানানো হচ্ছে সেই সব মিছিল থেকে। যা অস্বস্তিতে ফেলেছে পাক প্রশাসনকে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও একই ধরণের আন্দোলন হয়েছিল পাকিস্তান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন, সেমিস্টার ফি-র নামে প্রতি ৩-৪ মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবে এবারের বিক্ষোভে সামিল ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, লাহোরের মতো শহরেও বিক্ষোভব ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, শুধু ছাত্ররা নয়, আম জনতাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। পাকিস্তানে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব, প্রশাসনিক জোরজুলুমকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নামছে ৮ থেকে ৮০। আন্দোলনকে আরও জোরালো করে তুলেছে প্রভাবশালী জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি রাস্তায় নেমেছে বলেও খবর।
এই আন্দোলন নিয়ে পাকিস্তান সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। কিন্তু জায়গায় জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ধরপাকড় চলছে। আন্দোলন থামাতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী দেশ নেপালেও Gen Z-র বিক্ষোভ হয়েছিল। আর তা এমন আকার ধারণ করে যে, সরকারের পতন হয়। সেখানে এখন অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায়।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শেহবাজ শরিফ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিক্ষোভ বাড়ছে। প্রায় আন্দোলনে নামছে সাধারণ মানুষ। তা নিয়ে বিপাকে পাকিস্তান সরকার।