বাংলাদেশের মতো নেপালও যেতে পারে অন্তর্বতীকালীন সরকারের হাতে। প্রধান হতে পারেন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। কার হাতে নেপালের ক্ষমতা যাবে, কাকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে সম্প্রতি নেপালের Zen G বৈঠক করে। ভার্চুয়াল সেই বৈঠকে অংশ নেয় প্রায় ৫ হাজার জন। সেখানেই নেপালের অন্তর্বতীকালীন প্রধান হিসেবে সুশীলা কার্কির নাম আসে।
এদিনের আলোচনায় অন্তর্বতীকালীন প্রধান হিসেবে বালেন্দ্র শাহর নামও উঠে আসে। তিনিই ছিলেন তরুণ তুর্কীদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু বালেন্দ্র শাহ ফোন সেই বৈঠকে যোগ দেননি। নেপালের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে একজনের বিবৃতি সামনে আনা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, 'যেহেতু বালেন্দ্র শাহ আমাদের ফোন ধরেননি, তাই আলোচনা চলাকালীন অন্য নাম চলে আসে। সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছেন সুশীলা কার্কি।'
সূত্রের খবর, ওই ভার্চুয়াল সভার কম করে হাজার সদস্যদের সম্মতির প্রয়োজন ছিল সুশীলার। তবে তিনি প্রায় আড়াই হাজার জনের সমর্থন পান। তবে আলোচনায় কুলমান ঘিসিং, সাগর ধাকাল এবং হারকা সাম্পাংর নামও আলোচনায় উঠে আসে। র্যান্ডম নেপালি নামে পরিচিত বালেন্দ্র শাহ যথেষ্ট ভোট পান। তবে তিনি নাকি জানিয়েছেন, যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি না হন, তাহলেই নেবেন।
কে এই সুশীলা কার্কি?
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসেন। আইনি পেশায় আসার আগে তিনি ছিলেন শিক্ষিকা। একাধিক সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন ধরেই। তবে মাওবাদী সরকারের বিরোধী মুখ বলেও তাঁর জনপ্রিয়তা গড়ে ওঠে। ২০০৬ সালের সাংবিধানিক খসড়া কমিটিরও অংশ ছিলেন সুশীলা। ২০০৯ সালে পালের সুপ্রিম কোর্টে একজন অ্যাডহক বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০২৪ সালের অগাস্ট আন্দোলনের পর বাংলাদেশেও একইভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। তাঁর নেতৃত্বেই অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল ভারতের। কিন্তু ইউনূস আসার পর সেই সম্পর্ক শীতল হয়। একাধিকবার ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য করেন তিনি। সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারও বাড়তে থাকে।
এখন নেপালের দায়িত্ব যদি সুশীলা পান তাহলে তাঁর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোন খাতে বইবে সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রশ্নাতীতভাবে ভালো ছিল না। তিনি সীমানা ইস্যুতে একাধিক এমন মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এখন দেখার যদি সুশীলা ক্ষমতায় বসেন তাহলে তাঁর কী অবস্থান হয়।