Germany Christmas Market Attack: জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে জোরে গাড়ি চালিয়ে হামলা, গ্রেফতার সৌদির নাগরিক

জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে ম্যাগডেবার্গ। সেখানে চলছিল বড়দিনের বাজার। সেই সময় প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালায় সৌদির নাগরিক তালিব। ঘাতক গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন এক শিশু-সহ দু'জন।

Advertisement
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে জোরে গাড়ি চালিয়ে হামলা, গ্রেফতার সৌদির নাগরিকজার্মানিতে বড়দিনের বাজারে হামলা
হাইলাইটস
  • জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরে হামলা।
  • অভিযুক্ত তালিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জার্মানিতে ক্রিসমাসের বাজারে গাড়ি নিয়ে হামলা। জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরে এই ঘটনায় অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি শিশু। গাড়ির চালক ৫০ বছর বয়সী তালিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সৌদির নাগরিক। 

জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে ম্যাগডেবার্গ। সেখানে চলছিল বড়দিনের বাজার। সেই সময় প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালায় সৌদির নাগরিক তালিব। ঘাতক গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন এক শিশু-সহ দু'জন। আহতের সংখ্যা ৬৮।

ঘাতক গাড়ির চালক তালিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় চিকিৎসক। সে সৌদি আরবের বাসিন্দা।। দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানিতে থাকছিল তালিব। ইচ্ছাকৃতভাবে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। কী কারণে তালিব হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রথমে বলা হয়েছিল, গাড়ি হামলায় ১১ জন মারা গিয়েছে। পরে প্রশাসন জানায়, এটা ভুল খবর।  পুলিশকে উদ্ধৃত করে জার্মান সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে,এটা লোন উলফ কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। তালিব একাই এই হামলা ঘটিয়েছে। সেজন্য সে একটি বিএমডব্লু গাড়িও ভাড়া করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভিড়কে লক্ষ্য করে তীব্র গতিতে ছুটে আসে গাড়িটি।  

তালিবের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে তল্লাশি চালায় জার্মান পুলিশ। তবে কোনও বিস্ফোরক মেলেনি। ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে বাজার। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশের বিশাল বাহিনী। 

ঘটনার নিন্দা করে জার্মানির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,'যে কোনও ধরনের হিংসা কাম্য নয়। নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করছে সৌদি সরকার'। 

ঠিক ৮ বছর আগে বার্লিনের বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে হামলা করে তিউনিশিয়ার বাসিন্দা আনিস আমরি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। আহত হয়েছিলেন ১২ জনেরও বেশি। আমরি জার্মানিতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল। তার সঙ্গে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের যোগও মিলেছিল।       
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement