G20 Summit: G20 শীর্ষ সম্মেলনের কারণে, দেশের রাজধানী দিল্লি বিশ্ব স্তরে একটি শক্তি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমেরিকা থেকে জার্মানি পর্যন্ত বিশ্বের সব বড় বড় দেশের প্রতিনিধিরা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন, যা আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান পছন্দ করছে না। ভারতে অনুষ্ঠিত G20 শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে, অতীতে পাকিস্তান বলেছিল যে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এখন বিশ্বস্তরে ভারতের শক্তি দেখে, পাকিস্তানি জনগণ তাদের সরকারকে G20 শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে অনেক সমালোচনা করছে। একটি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলের উপস্থাপক যখন G20 সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, লোকেরা তাদের নিজের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং কঠোরভাবে তিরস্কার করেছেন।
'আগামী দিনে ভারত অনেক এগিয়ে যাবে'
ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন প্রসঙ্গে এক পাকিস্তানি নাগরিক বলেন, ভারত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী দিনে অনেক এগিয়ে যাবে এবং প্রডাকশন হার হবে চিনের থেকেও বেশি। একজন বলেছেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর নয় তবুও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় যে পরমাণু শক্তি থাকা সত্ত্বেও কেউ আমাদের পাত্তাও দেয়নি।
একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, পাকিস্তান ভুল করে স্বাধীনতা পেয়েছে, যারা সে সময় দেশভাগের বিরোধিতা করছিল তারা ঠিকই বলেছিল। এটা হওয়াই উচিতছিল না। একজন কাশ্মীরি (POK) বলেছেন যে ভারত আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে, ভারতীয় কাশ্মীরের মানুষ আমাদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধায় আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন প্রতিযোগিতার প্রশ্নই নেই।
'পাকিস্তান এগিয়ে যেতে চাইলে সম্পর্ক উন্নত করতে হবে'
আরেকজন বলেন, আমরা যদি উন্নতি করতে চাই তাহলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে হবে। একজন বয়স্ক পাকিস্তানি নাগরিক বলেন, পাকিস্তান একটি ক্ষুধার্ত, নগ্ন দেশ, এমন দেশের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখে না। প্রতিটি দেশই ভাববে পাকিস্তান নিশ্চয়ই টাকা চাইতে এসেছে। আরেকজন বলেন, আমি মোদীর সাক্ষাৎকার দেখেছি যেখানে তিনি বলছেন, পাকিস্তানে কার সঙ্গে কথা বলবেন, চিফ জাস্টিসের সঙ্গে কথা বলবেন, সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন না প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, তিনি একেবারেই ঠিক বলেছেন, আমাদের নেতৃত্ব নেই। আরেকজন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো প্রতিযোগিতা নেই। তারা চাঁদে চলে গেছেন এবং আমাদের মারামারি শেষ হচ্ছে না।