বাংলাদেশ হয়ে ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনালস্কর-ই-তইবার একজন কমান্ডার সাইফুল্লাহ সাইফ একটি ভিডিওতে বলেছেন, হাফিজ সইদ এখন বাংলাদেশ থেকে ভারতে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন। ভিডিওটি ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খাইরপুর তামিভালিতে আয়োজিত একটি সমাবেশের। আজতকের কাছে এই ভিডিওটি রয়েছে।
ভিডিওতে লস্কর কমান্ডার সাইফুল্লাহ সাইফকে স্পষ্টভাবে বলতে দেখা যাচ্ছে, 'হাফিজ সইদ অলস বসে নেই, তিনি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।' সাইফুল্লাহ সাইফ দাবি করেছেন, হাফিজের লোকেরা পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে সক্রিয় এবং ভারতকে জবাব দিতে প্রস্তুত।
🚨 Exclusive Intel Report:
— OsintTV 📺 (@OsintTV) November 8, 2025
On 30 October 2025, Lashkar commander Saifullah Saif declared that Hafiz Saeed’s top aide is operating from East Pakistan (Bangladesh), plotting to push terrorism into India.
In a fiery address at the Defense Companions and Wahlibat Conference in… pic.twitter.com/Msrb2LbabX
এই সমাবেশে সাইফুল্লাহ বলেন, স্থানীয় যুবকদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত করতে এবং তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একজন সহযোগীকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক ধরণের 'লঞ্চপ্যাড' হয়ে উঠছে, যা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভিডিওতে শিশুদেরও দেখা গেছে
ভিডিওটিতে শিশুদের উপস্থিতিও দেখা যাচ্ছে। সাইফুল্লাহর বক্তব্যের সময় বেশ কয়েকজন শিশু উপস্থিত ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে কিছু জঙ্গি সংগঠন তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শিশুদের ব্যবহার করছে। ভিডিওটির ভিত্তিতে অভিযোগ করা হচ্ছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি শিশুদের জিহাদি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে
সাইফুল্লাহ তার বক্তৃতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন এবং বলেন যে ৯-১০ মে রাতের পর পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানায়। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশও পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই সবই বর্তমানে সাইফুল্লাহর দাবি এবং একটি ভাইরাল ভিডিওর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ধরনের গুরুতর অভিযোগের পর স্বাধীন তদন্ত এবং সরকারী নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। ভিডিওটি প্রকাশের ফলে নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে অসংখ্য প্রশ্ন উঠতে পারে, তাই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে তদন্ত করে তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
ভারতের সতর্কতা এবং সম্ভাব্য পদক্ষেপ
যদিও ভারতের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবুও বিভিন্ন সংস্থায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা মহল মনে করছে যে এই বিবৃতিটি অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতের বিরুদ্ধে তথ্য যুদ্ধের অংশ হতে পারে।