এই তো সে দিনের ঘটনা। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু হল COVID-19 অতিমারিতে। ঠিক ৫ বছর আগে ছড়াতে শুরু করেছিল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। সেই অতিমারির ক্ষত এখনও সারেনি বিশ্বের। অর্থনীতির হাল শোচনীয়। এহেন পরিস্থিতিতে চিনে ভয় ধরাচ্ছে আরেক ভাইরাস HMPV (হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস)।
জানা যাচ্ছে, চিনে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। জ্বরের ওষুধের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। করোনার মতোই শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এই ভাইরাসে। ভারতেও ভাইরাসটি নিয়ে অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে। দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর জেনারেল ডাক্তার বন্দনা বগ্গা ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দিল্লিতে শ্বাসকষ্টে ভুগছে, এমন রোগীদের চিকিত্সা ব্যবস্থায় আরও মজবুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেন সিলিন্ডারের পাশাপাশি হাসাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল, কাফ সিরাপ সহ নানা ওষুধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বিষয়টি নিয়ে এখনও মানতে নারাজ চিন
যদিও শ্বাসকষ্টজনীত রোগ ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে এখনও মানতে নারাজ চিন। তাদের বক্তব্য, ২০২৫-এর ২ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্বাসজনীত রোগ বাড়েনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, চিনের National Disease Control and Prevention Administration নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শীতে এমনিই ফুসফুসের সমস্যা, নিউমোনিয়া , শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই এই ভাইরাসের দাপটও শীতে বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
⚠️ BREAKING:
— SARS‑CoV‑2 (COVID-19) (@COVID19_disease) January 1, 2025
China 🇨🇳 Declares State of Emergency as Epidemic Overwhelms Hospitals and Crematoriums.
Multiple viruses, including Influenza A, HMPV, Mycoplasma pneumoniae, and COVID-19, are spreading rapidly across China. pic.twitter.com/GRV3XYgrYX
হিউম্যান মেটানিউমোনিয়া বা HMPV কী?
এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে সর্দি, কাশি শুরু হয়। গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া সমস্যা তৈরি হয়। খুব ছোট শিশু ও বৃদ্ধ বা প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার আশঙ্কা। বিশেষ করে যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
হিউম্যান মেটানিউমোনিয়া কি COVID-19 এর মতোই?
এইচএমপিভি ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। ভাইরাস সাধারণত উপরের শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুতে HMPV সংক্রমণ বেশি হয়। যদিও HMPV এবং SARS-CoV-2 (COVID-19 এর জন্য দায়ী ভাইরাস) বিভিন্ন ভাইরাল পরিবারের অন্তর্গত, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে। উভয় ভাইরাসই মূলত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে হালকা থেকে গুরুতর সংক্রমণ হয়। উভয় ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ একই রকম, যেমন জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। এইচএমপিভি শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও প্রভাবিত করে। এই ভাইরাসটির উপসর্গের সঙ্গে বার্ড ফ্লু-এরও মিল রয়েছে।