মঙ্গলবার পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক করেছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (Balochistan Liberation Army)। এখনও সেই ট্রেন ও যাত্রীদের অনেকেই তাদের কব্জায়। পাকিস্তানের সেনা যাত্রীদের মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি অপহৃতকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। এরই মধ্যে সামনে এল বিএলএ-র ভিডিও। কীভাবে তারা ট্রেন হাইজ্যাক করল, যাত্রীরা কী অবস্থায় রয়েছে সেই সব রয়েছে এই ভিডিওতে।
বিএলএ যে ভিডিও সামনে এনেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, জাফর এক্সপ্রেস চলছে। তখন ট্রেনকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপরই ট্রেন থেমে যায়। বিএলএ-র যোদ্ধারা পাহাড়ে বসে আছে।
ভিডিওতে এও দেখা যাচ্ছে, যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনছে বিএলএ-র সদস্যরা। অপহৃতরা পাহাড়ে বসে আছে। তাদের ঘিরে রয়েছে অপহরণকারীরা।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস এখনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে সেনা। তাদের জন্য আলাদা একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
ট্রেন হাইজ্যাক ও পাকিস্তানি সেনার পদক্ষেপ
মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় জাফর এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি সিব্বি পৌঁছানোর কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। তবে বোলানের মাশফাক টানেলে বিদ্রোহীরা হামলা করে। যে জায়গা দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেটা পাহাড়ি এলাকা। রয়েছে ১৭ টানেল। সেই কারণে চালককে ট্রেনের গতি কমাতে হয়েছিল। তখনই ৪ নম্বর টানেল উড়িয়ে দেয় বিদ্রোহীরা। তার জেরে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এরপরই ট্রেনটি হাইজ্যাক করা হয়। জানা যায়, বিএলএ যোদ্ধারা আগে থেকেই অ্যাম্বুশে বসে ছিল।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে বিদ্রোহীরা দুই ভাগে বিভক্ত। যে টানেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেটা কোয়েটা থেকে ১৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই সুড়ঙ্গটি যে এলাকায় অবস্থিত সেটি অত্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। যার নিকটতম স্টেশন পাহাড়ো কুনরি। ছিনতাই হওয়া ট্রেনটি বর্তমানে বোলান পাসে দাঁড়িয়ে আছে। এই পুরো এলাকাটি পাহাড় এবং টানেল দ্বারা বেষ্টিত। ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। সেই কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।