নরেন্দ্র মোদীবুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফোনে কথা বলেন। এই সময় দুই রাষ্ট্রনেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মতামত জানান। আর এই কথোপকথনের সময়ই উঠে আসে গাজা শান্তি প্রক্রিয়ার কথা। এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এর মাধ্যমে শান্তি আনা সম্ভব।'
মোদী এবং নেতানিয়াহু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মত বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী 'ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয়াদিল্লির পাশে থাকার কথা আবারও তুলে ধরেন। তিনি কথোপকথন, কূটনীতি এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের পক্ষে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানকে তুলে ধরেন।
যতদূর খবর, এই কথোপকথনের সময় দুই নেতা সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের যৌথ 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথাও বলেন।
তাঁদের মতে, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চরমপন্থা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সারা বিশ্বে অস্থিরতা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে জোর দিতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা করা জরুরি।
এই দুই নেতাই আঞ্চলিক পরিস্থিতির অগ্রগতি নজরে রেখে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সহমত হন। দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশে ভারত-ইজরায়েলের কৌশলগত গুরুত্বও তারা উল্লেখ করেন।
এছাড়া এই কথোপকথনে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-ইজরায়েলের সহযোগিতা শক্তিশালী করার অতিরিক্ত সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখেন।
প্রসঙ্গত, এই বছরের অক্টোবর মাসে মোদী ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্বাগত জানান। তিনি জানান, এই পরিকল্পনায় ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে।
আর নরেন্দ্র মোদী এই অগ্রগতিকে 'ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন' হিসেবে বর্ণনা করেন। এর ফলে যে ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরবে, সেটাও মনে করেন তিনি।
গাজা পিস প্ল্যান কী?
হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০ দফা একটা পরিকল্পনা সামনে এনেছেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় শান্তি ফেরানো হবে বলে জানান তিনি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় আর হামলা চালাবে না ইজরায়েল। তার বদলে ইজরায়েলের পণবন্দিদের ছেড়ে দেবে হামাস। এছাড়া গাজায় নামবে আন্তর্জাতিক বাহিনী।তারা সেখানে শান্তি ফেরাতে সাহায্য করবে। আর এই পরিকল্পনাকেই সমর্থন জানায় ভারত।