ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি যুগ্ম ভাবে এই নতুন উদ্যোগের কথা জানান।
এই প্রকল্পের জন্য ভারতের খরচ হবে প্রায় ৪০৩৩ কোটি। এক্ষেত্রে বাংলার বানারহাটের সঙ্গে ভুটানের সামসি এবং আসামের কোকরাঝাড়ের সঙ্গে ভুটানের গেলফুর রেল যোগযোগ গড়ে উঠবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, 'এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভুটানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে তৈরি করা গেলফু শহর এবং ভুটানের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল হাব সামসির সঙ্গে তৈরি করা হবে যোগাযোগ।'
তিনি আরও জানান, এই দুটি প্রোজেক্ট ভারতীয় রেল কোকরাঝাড় এবং বানারহাট থেকে শুরু করবে। এই প্রকল্পে ৮৯ কিমি রেলে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। এর জন্য খরচ হবে মোটামুটি ৪০৩৩ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, 'ভারত হল ভুটানের সবথেকে বড় বাণিজ্য সঙ্গী। আর ভুটানের বেশির ভাগ বাণিজ্য ভারতের বন্দরের মাধ্যমে হয়। তাই এই দুই দেশের মধ্যে একটা উন্নতমানের রেল যোগাযোগ থাকা খুবই প্রয়োজন। এর মাধ্যমেই ভুটানের অর্থনীতি আরও বৃদ্ধি পাবে। সেখানকার মানুষ গোটা বিশ্বের সঙ্গে জুড়ে যেতে পারবেন। আর এই কারণেই গোটা প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
এই প্রসঙ্গে বিক্রম মিশ্রি বলেন, 'দুই দেশের সরকার এই এই ক্রস বর্ডার প্রকল্পের জন্য সায় দিয়েছে। এটাই ভুটানের সঙ্গে প্রথম রেল যোগযোগ প্রোজেক্ট। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে একটি মৌ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই করা হয়েছে।'
তাই আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তার ফলে জুড়ে যাবে দুই দেশ। এতে বাণিজ্যের সুবিধা হবে। ভুটানের মাল খুব সহজেই পৌঁছে যাবে ভারতে। সেখান থেকে ছড়িয়ে যেতে পারবে সারা বিশ্বে। যার ফলে সেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। শুধু তাই নয়, ভারতও আরও সহজে নিজেদের পণ্য পাঠিয়ে দিতে পারবে ভুটানে। এতে ভারতেরও কিছুটা লাভ রয়েছে।এখানেই শেষ নয়, এর মাধ্যমে পর্যটকরাও খুব সহজে ভুটান যেতে পারবেন। তাদের আর প্লেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ভুটানের ভালো পর্যটনেরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।