India US Relation: মার্কিন শুল্ক কমাতে লবিং ফার্মকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত? ওয়াশিংটনে নয়া রণনীতি

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। আমেরিকায় চুক্তি স্বাক্ষর করা হল নয়া লবিং সংস্থার সঙ্গে। ট্যারিফের টেনশন কমাতে এবার নয়া চাল মোদী সরকারের। কমবে শুল্কের বোঝা?

Advertisement
মার্কিন শুল্ক কমাতে লবিং ফার্মকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত? ওয়াশিংটনে নয়া রণনীতি
হাইলাইটস
  • আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা
  • লবিং ফার্মের সঙ্গে চুক্তি ভারতের
  • কমবে ট্যারিফের বোঝা?

আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরইমাঝে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ভারত একটি নতুন লবিং সংস্থাকে নিযুক্ত করল। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সম্প্রতি মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রাক্তন সিনেটর ডেভিড ভিটারের নেতৃত্বাধীন এই সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী শহরে ভারতের কূটনৈতিক কার্যকলাপকে আরও জোরদার করবে।

মার্কিন বিচার বিভাগে ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট (FARA)–এর আওতায় সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতীয় দূতাবাস ও মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্য়ের মধ্যে এই চুক্তি চলবে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এই চুক্তির আওতায় ভারত প্রতি মাসে সংস্থাটিকে ৭৫ হাজার ডলার (প্রায় ৬৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯৪৮ টাকা) প্রদান করবে। মোট তিন মাসে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৪৪ টাকা)।

মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ভারতের জন্য ফেডারেল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও কৌশলগত পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে কারণ, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তাঁর চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস এই সংস্থার ওয়াশিংটন ডিসি ও ফ্লোরিডা কার্যালয়ের প্রধান ছিলেন। পরে তিনি ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচার টিমে যোগ দেন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার পর ভারত একমাত্র দেশ নয় যে মার্কারি পাবলিক অ্যাফেয়ার্সকে নিয়োগ করেছে। ডেনমার্ক, ইকুয়েডর, আর্মেনিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসও প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।


ভারতের লবিং প্রচেষ্টা জোরদার করার অন্যতম কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত ট্যারিফ চাপানো। এর মধ্যে রয়েছে ২৫% নতুন শুল্ক, যা ২০২৫ সালের ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও ইতিমধ্যেই রয়েছে ২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্ক। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে বলেই নাকি ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। গত ২২ অগাস্ট হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো সন্দেহ প্রকাশ করেন, ভারত তার জ্বালানি সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে চাইছে না। তিনি বলেন, 'নতুন শুল্ক পরিকল্পনামাফিক কার্যকর হবে। ফলে ভারত এখন ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ শুল্ক-শ্রেণিতে ব্রাজিলের সঙ্গেই এক শ্রেণিতে চলে আসবে।'

Advertisement

অন্যদিকে, পাকিস্তানও ওয়াশিংটনে তার লবিং নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে। দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও প্রতি মাসে আনুমানিক ৬ লক্ষ ডলার ব্যয় করছে। পাকিস্তান হোয়াইট হাউস, কংগ্রেস এবং বিভিন্ন মার্কিন সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মোট ছ'টি লবিং ও কৌশলগত যোগাযোগ সংস্থাকে নিয়োগ করেছে।


পাকিস্তানের এই আক্রমণাত্মক লবিং কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই ফল দিচ্ছে। দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির হোয়াইট হাউসে এক বিরল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি পাকিস্তান ভারতের তুলনায় কম শুল্ক হার (১৯%) নিশ্চিত করেছে। 

 

POST A COMMENT
Advertisement