আমেরিকার শুল্কভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে আমেরিকা। তাতে মার খাচ্ছে দেশের রপ্তানি। কোটি কোটি টাকার লোকসান সইতে হচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই ভারতের উপর শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই খবর সামনে আসার পর ভারতও কিছুটা সদয় হয়েছে। মোদী সরকারের পক্ষ থেকেও আমেরিকার নানা পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে একটি রিপোর্টে। পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তিও হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কী বলা হয় রিপোর্টে?
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে ভারতের যতটা ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক ততটা হয়নি। যার ফলে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির সময় লাভই হবে। আসলে ইয়ার-অন-ইয়ার হিসাবে অক্টোবরের নিরিখে ৮.৬ শতাংশ কমেছে আমেরিকার রপ্তানি। ও দিকে আবার ১২ শতাংশ কমেছিল সেপ্টেম্বরে। আর এই দুই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দেয় যে ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে।
সেই সাংবাদিককে এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রভাবের সবথেকে খারাপ সময়টা আমরা কাটিয়ে চলে এসেছে ভারত। যদিও বস্ত্র ব্যবসায় অনেকটাই কমেছে রপ্তানি। তবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে তেমন একটা সমস্যা হয়নি।আর এটাই ভারতের জন্য ভাল খবর। তাই তারা এখন ভেবে চিন্তে পা ফেলতে পারছে এই বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে। কোনও তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না।
ভারত কমিয়ে দিতে পারে ৮০ শতাংশ পণ্যের দাম
আমেরিকা-ভারত ট্রেড ডিল হয়ে গেলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রথমেই কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তার বদলে মাত্র ১৫ শতাংশ শুল্ক থাকবে। তার বদলে আবার ভারতকে কিছু ছাড় দিতে হবে। সেই আধিকারিকের মতে, ৮০ শতাংশ আমেরিকার পণ্যে ছাড় দিতে পারে মোদী সরকার। তবে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রকে বাঁচাতে সেখানে ছাড়ের আশা রয়েছে কম।
এই পরিসংখ্যানও শান্তি দেয়
২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের বাণিজ্যের পরিসংখ্যানও কিন্তু কিছুটা স্বস্তি গেয়। এক্ষেত্রে আমেরিকাতেই সবথেকে বেশি পণ্য পাঠিয়েছে ভারত। ৫২.১২ বিলিয়ন পণ্য ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। বিশেষত, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেকট্রনিক্স, দামি পাথর এবং জুয়েলারির রপ্তানি করা হয়েছে। ও দিকে UAE, নেদারল্যান্ডস এবং চিনে রপ্তানি করা হয়েছে যথাক্রমে ২২.১৪ বিলিয়ন, ১১.৯৮ বিলিয়ন এবং ১০.০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ও দিকে চিন থেকে সবথেকে বেশি আমদানি করেছে ভারত।