পাকিস্তানে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেট জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। তবে, এবার তাকে বাহাওয়ালপুরের জঙ্গিঘাঁটিতে দেখা যায়নি। বরং হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে তাঁকে দেখা গিয়েছে। নতুন গোয়েন্দা রিপোর্টে মাসুদ আজহারের এই উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখেছে ইন্ডিয়া টুডে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে মাসুদ আজহার পাকিস্তানে নেই। সে আফগানিস্তানে থাকতে পারে। বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল। তার মধ্য়ে একটি হল জামিয়া সুবহানআল্লাহ, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের হামলায় জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যায়। জামিয়া উসমান ও আলি নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান শহরের ঘনবসতিপূর্ণ অংশে অবস্থিত একটি মাদ্রাসাতে রয়েছে। এখানে আগে থাকত মাসুদ আজহার।
সম্প্রতি মাসুদ আজহারকে স্কার্দুতে দেখা গেছে, বিশেষ করে সাদপাড়া রোড এলাকার আশেপাশে। যেখানে কমপক্ষে দুটি মসজিদ, অনুমোদিত মাদ্রাসা এবং একাধিক বেসরকারি ও সরকারি অতিথিশালা রয়েছে। আজহারই একমাত্র সন্ত্রাসবাদী নেতা নয়, যিে পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে। আরেক জঙ্গি ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় বসে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে। বার্মা টাউনের আরেকটি ঘনবসতিপূর্ণ শহরতলিতে তার একটি অফিসও রয়েছে। যেখানে তাকে প্রায়শই বন্দুকধারীদের সঙ্গে দেখা যায়।
সম্প্রতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া ইন্টারভিউয়ে এক চমকপ্রদ দাবি করেন। তিনি বলেছে, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার কোথায় আছে তা ইসলামাবাদ জানে না। তিনি আরও বলেন, ভারত যদি তথ্য দেয় যে সে পাকিস্তানের মাটিতে আছে, তাহলে দেশটি তাকে গ্রেফতার করা হবে।
মাসুদ আজহার ভারতের অন্যতম মোস্ট-ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা সহ অন্যান্য ঘটনায় জড়িত সে। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের পর আজহারকে আইসি-৮১৪ এর যাত্রীদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।