India Gaining From Russia: পৃথিবীতে এই সময় তেলের জন্য মারামারি শুরু হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়ে রয়েছে। আমেরিকা এর আগে চাপ সৃষ্টি করছিল যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল যেন কেনা না হয়। রাশিয়াকে পুরোভাবে আইসোলেট করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু এই চাপের মধ্যে কূটনীতি চালিয়ে ভারত সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। যুদ্ধের মধ্যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করেছে। যা আগের চেয়ে ৩৮৪ শতাংশ প্রত্যাশিত বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিসংখ্যান এ বুঝতে হবে ভারতের কূটনীতি
রাশিয়ার মিডিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী যে কারণে পশ্চিমে দেশগুলির রাশিয়ার তেলের উপর একাধিক প্রতিবন্ধকতা লাগু করেছে সেই কারণে ভারত ভারী ডিসকাউন্টে তেল আমদানি করার সুযোগ পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে যে এই সময়ে রাশিয়া ভারতের আমদানি মামলায় চতুর্থ সবচেয়ে বড় অংশীদার হয়ে গিয়েছে। ৩৭.৩১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের তেল আমদানি করেছে ভারত। এটি অন্যান্য বছরের হিসেবে ৩৮৪ শতাংশ বৃদ্ধির হয়েছে গত দশ মাসের হিসেব অনুযায়ী ভারত ৭৮.৫৮ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করেছে। যা গত বছর ৫০.৭৭ বিলিয়ন ডলার ছিল। এই পরিস্থিতিতে তেল আমদানির মামলায় ভারত সরকার এমন একটি কূটনীতি চালিয়েছে, যাতে এই সংকটের সময় ভারত সস্তায় তেল আমদানি করে নিতে পারে। এটা বুঝে নিতে হবে যে ভারত এই মুহূর্তে পৃথিবীর মধ্যে তেল আমদানি করা দেশের মধ্যে তৃতীয় সবচেয়ে বড় দেশ।
সরকার চুপ থেকে কূটনীতি চালিয়েছে
গত বছর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে, সরকার এমন কখনও বলেনি যে কোম্পানিগুলির রাশিয়া থেকে তেল কিনতে হবে। বরং এটি বলা হয়েছে যে সেরা তেল আনা হোক। অর্থাৎ সরকার কখনও রাশিয়ার তেলের উপর বাধাও দেয়নি। এটা এই কারণে রাশিয়ার সংস্থা তেল বিক্রি করেছে এবং ভারত এর সোজা ফায়দা নিয়েছে। যেখানে ভারত- রাশিয়া থেকে খুব কম তেল কিন্তু এই পরিসংখ্যান এখন ২০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তেলের কারণে ভারতীয় তেল রিফাইনারি কোম্পানিগুলি পৃথিবীতে মধ্যে বেশি মুনাফা কামিয়েছে।
আমেরিকাও ভারতের সামনে নত হয়েছে?
বড় বিষয় এটা হলো যে আমেরিকার রাশিয়ার তেলের আমদানির বিরোধ করছে। কিছুদিন আগে তারা পরিষ্কার করে দিয়েছে, যে ভারতের উপর তারা একাধিক প্রতিবন্ধকতা লাগাতে চাইছে। আমেরিকার বিদেশ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কেরেন ডোনফ্রাই মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছিলেন যে, আমরা ভারতের ওপর কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা লাগাচ্ছি না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভারতের ওই পদক্ষেপের স্বাগত জানাচ্ছি। যেখানে তারা ইউক্রেনেের দিকে মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ করতে আবেদন করেছে। এই বয়ানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এখন এই বয়ান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাশিয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানি করা নিয়ে একটা বড় ইস্যু তৈরি হয়। আমেরিকা যেহেতু রাশিয়াকে আর্থিকভাবে কমজোর করতে চাইছে, সেখানে তাদের তেল আমদানি ভারত বন্ধ করেনি।