India Pakistan Water War: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি দুই দেশের জন্যই ছিল একটি ঐতিহাসিক জল বণ্টন চুক্তি। কিন্তু ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এই চুক্তি কার্যত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানের সিনেটর সৈয়দ আলি জাফর ভারতের সিদ্ধান্তকে "জল বোমা" আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের কৃষি, অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলবে।” তিনি দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ওপর ‘ভূ-রাজনৈতিক চাপ’ সৃষ্টি করবে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করে, তাহলে সিন্ধু জল চুক্তি পুনরায় কার্যকর হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কড়া বার্তায় বলেন, “জল ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।” এর অর্থ, পাকিস্তান যদি রক্তপাত ঘটায় (সন্ত্রাসে মদত দেয়), তাহলে ভারত জল দেবে না।
এদিকে, আমেরিকা মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সব আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক স্তরে। কূটনৈতিকভাবে ভারত দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, ভারতের জলাধার ক্ষমতা সীমিত হলেও তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করতে সক্ষম। তবে দীর্ঘমেয়াদে পাকিস্তানের কৃষি, জল সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে পাঞ্জাব, সিন্ধ ও বেলুচিস্তানের মত এলাকায় সেচব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়বে।
ভারতের এই পদক্ষেপ এমন সময় এসেছে যখন পাকিস্তানে তীব্র মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য সংকট এবং বিদ্যুৎ ঘাটতি চলমান। সিন্ধু নদীর উপর নির্ভরশীল লাখ লাখ কৃষক ও সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে ‘অঘোষিত জল যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করছে।