ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় রীতিমতো থরহরি কম্প শুরু হয়েছে পাকিস্তানে।বুধবার মক ড্রিল করতে চলছে ভারত। এই আবহে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। মঙ্গলবার পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সদর দফতরে গেলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাক সংবাদমাধ্যম ডন সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য,১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতে এমন অসামরিক মহড়া হতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সে দেশের প্রস্তুতি জানতেই আইএসআই দফতরে যান শাহবাজ। পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক ডার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ। ভারত কোনও রকম প্রত্যাঘাত করলে কী জবাব দেওয়া হবে, কী কৌশল নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা হিসাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও মুহূর্তে প্রত্যাঘাত করতে পারে ভারত। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখন, কোথায় কী নিশানা করা হবে, তা স্থির করবে ভারতীয় সেনা। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভারত কীভাবে বদলা নেবে, তার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলেও খানিকটা চাপে পড়েছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার রব উঠেছে সর্বত্র। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পাক ভিসা। আকাশপথেও কড়া পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।