মুখ পুড়ল আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি একাধিকবার দাবি করেছিলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। সেই দাবি ভারত নাকচ করে এসেছে। এবার ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করে দিল পাকিস্তানও। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার জানালেন, ভারত তৃতীয় কোনও পক্ষের মধ্যস্থতা চায়নি। অপারেশন সিঁদুরের সময় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আমেরিকার তরফে এসেছিল, কিন্তু ভারত তাতে রাজি হয়নি।
একটি সাক্ষাৎকারে ইশাক দার স্বীকার করে নেন, ভারত তৃতীয় কোনও পক্ষের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ মানতে চায়নি। তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফে যখন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন রুবিও জানিয়েছিলেন, ভারত তাদের জানিয়েছে এটা সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তারা তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ পছন্দ করছে না।
অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল। তা মেনে নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী জানান, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিল। ১০ মে সকাল ৮:১৭ মিনিটে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী রুবিও তাঁকে বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি স্বাধীন জায়গায় আলোচনা হবে। কিন্তু পরে ২৫ জুলাই সেই রুবিও জানিয়েছিলেন, সমস্যা সমাধানে ভারত তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা অস্বীকার করেছে।
'পাকিস্তানের সমস্যা নেই...'
তবে আমেরিকার হস্তক্ষেপে পাকিস্তানের কোনও সমস্যা ছিল না বলেও দাবি করেন ইশাক দার। তিনি সাফ জানান, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় পাকিস্তানের কোনও সমস্যা নেই। কোনওদিন ছিল না। তবে ভারত সবসময় বলে আসছে, এটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়। দারের কথায়, 'আমরা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নিয়ে দ্বিধা করি না। রুবিওর মাধ্যমে যখন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে, তখন আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে। কিন্তু পরে বলা হয়, ভারত প্রত্যাখান করেছে।'
ভারতের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তান রাজি বলেও দাবি করেন ইশাক দার। তিনি বলেন, 'কোনও দেশ যদি আলোচনা চায়, আমরা খুশি হব। সেই উদ্য়োগকে স্বাগত জানাই। আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা আলোচনায় বিশ্বাস করি। তবে ভারত যদি না চায় তাহলে আমরাও এগোব না।'