মাঝরাতে পাল্টা প্রত্যাঘাত। পাকিস্তানের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে অ্যাটাক ভারতের। এই তিন ঘাঁটিতেই পাকিস্তানের প্রচুর অস্ত্র, ড্রোন মজুদ ছিল। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার সরকারি সূত্র মারফত এমনটা জানা গিয়েছে। তবে এই হামলায় কোনও সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর টার্গেট করা হয়নি। এর মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির নূর খান এয়ারবেস, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস এবং শোরকোটের রফিকি এয়ারবেস।
এই হামলার পর পাকিস্তান তাদের আকাশপথ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (PIA)-এর পেশোয়ারগামী ফ্লাইট PIA218 পাকিস্তানের আকাশে শেষবার দেখা গিয়েছে। ফ্লাইটটিকে কুয়েটার উপর চক্কর কাটতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের শোরকোটের রফিকি বিমানঘাঁটির বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘অপারেশন সিন্ধুর’ পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের তরফে লাগাতার ড্রোন হামলা চালানো হয় ভারতের ২৬টি শহরে। ড্রোনগুলি জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে লক্ষ্য করেছিল। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেয়।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তথ্য ও প্রচার বিভাগ আইএসপিআর (ISPR)-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারত ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি জালন্ধরের আদমপুর এয়ারবেস থেকে ছোড়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
#WATCH | Pakistani Posts and Terrorist Launch Pads from where Tube Launched Drones were also being launched, have been destroyed by the Indian Army positioned near Jammu: Defence Sources
— ANI (@ANI) May 10, 2025
(Source - Defence Sources) pic.twitter.com/7j9YVgmxWw
জেনারেল আহমেদ ভারতের এই কার্যকলাপকে 'অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিপজ্জনক' বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, যদি ভারতের এই আগ্রাসী মনোভাব অব্যাহত থাকে, তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। তবে পাকিস্তান যে লাগাতার ভারতের বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে ড্রোন-মিসাইল হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি।
পাকিস্তান ইতিমধ্যে তাদের আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি এবং রফিকি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি অতি উত্তেজনাপূর্ণ। সেনা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, এবং দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কেন্দ্র সরকার সূত্র জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই গণমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে।