ভারতীয় পণ্যের দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। আর তারপরেই বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রগামী সমস্ত ডাক পরিষেবা আপাতত বন্ধের ঘোষণা করল ভারতীয় ডাক বিভাগ।
সমস্ত ডাক পরিষেবা বন্ধ
রবিবার যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকাগামী সমস্ত ডাক পরিষেবা আপাতত স্থগিত রাখা হল। চিঠি, নথি, নথি আছে এমন পার্সেল এবং ১০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের গিফ্ট আইটেম, সব ক্যাটাগরির পোস্টেই সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নতুন করে আর কোনও বুকিং আপাতত নেওয়া হবে না।
যোগাযোগ মন্ত্রকের বক্তব্য, আমেরিকাগামী ডাক পরিবহনের ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া আমেরিকায় বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। অথচ সেখানে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা নেই। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ অগাস্টেই আংশিক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল
এর আগে গত ২২ অগাস্টই এই বিষয়ে প্রথম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল যে, শুধুমাত্র ১০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের পোস্ট আইটেম বাদে অন্যান্য পরিষেবা আগামী ২৫ অগাস্ট থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তাই এবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী সব ধরনের ডাক পরিষেবাই পুরোপুরি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে যোগাযোগ মন্ত্রক জানিয়েছে, সরকার গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ডাক পরিষেবা যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে।
যোগাযোগ মন্ত্রকের অফিসিয়াল প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আমেরিকার নতুন নিয়মের জের
এতদিন আমেরিকায় ৮০০ ডলার মূল্য পর্যন্ত কোনও জিনিস আমদানির ক্ষেত্রে কোনও কর আরোপ হত না। কিন্তু, গত ৩০ জুলাই ২০২৫ এ ট্রাম্প প্রশাসন একটি নতুন আদেশ জারি করে। গত ২৯ অগাস্ট থেকে এই নতুন নিয়মটি কার্যকর হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সমস্ত পণ্য International Emergency Economy Power Act (IEEPA) এর অধীনে শুল্কের আওতায় আসবে। তবে ১০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের পণ্যের ক্ষেত্রে আগের মতোই ছাড় থাকবে।
দ্বিগুণ ট্যারিফের জের
১ অগাস্ট ২০২৫ থেকে ভারত আমেরিকা সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। ঠিক সেই দিনই আমেরিকা ভারতের উপর প্রথম ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এরপর রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনাকে কেন্দ্র করে চাপ সৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ২৭ অগাস্ট আরও ২৫ শতাংশ ট্যারিফ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়।