ভারতের রফতানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক। তবে তাতে ভারতের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিকের মতে, সামগ্রিক অর্থনীতির উপর ট্রাম্পের এই শুল্কের প্রভাব সেভাবে পড়বে না। জিডিপি এবং রফতানির পরিসংখ্যানে তেমন রদবদলের সম্ভাবনা খুবই সামান্য। শুক্রবার মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'আমাদের দুই দেশেরই নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেগুলি বজায় রেখেই আমরা চলার চেষ্টা করব।' আগামিদিনে ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক, ব্যবসায়িক সম্পর্কও আরও দৃঢ় হবে বলে জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিকের দাবি, '২৫ শতাংশ শুল্কের হয় তো কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে তাতে যে ভারতের বাজারে খুব বেশি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে, তেমনটা নয়। খুব খারাপ কিছু হলে দেশের জিডিপি ০.২ শতাংশেরও কম হারে কমতে পারে। সেটা সহজেই সামাল দেওয়া সম্ভব।'
কৃষকদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার
ভারতের কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে কোনওরকম আপস করা হবে না বলেই সাফ জানিয়েছে সরকার। শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, 'কৃষকদের স্বার্থই আমাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার বলা যেতে পারে। জেনেটিকালি মডিফায়েড ফসল আমদানি করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কৃষি বা ডেয়ারি শিল্পের কোনও ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না।'
ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে জড়িত ইস্যুতেও ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক জানালেন, 'নন-ভেজ দুধ বা গরুর মাংসের মতো বিষয়েও ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। এই বিষয়গুলির সঙ্গে শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তাই নয়, ধর্মীয় আবেগও জড়িয়ে।'
বেশিরভাগ রফতানি পণ্যই নতুন শুল্ক নীতির মধ্যে পড়ছে না
কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের মতে, 'যেসব ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হয়, তার বেশিরভাগই এই নতুন শুল্কের মধ্যে পড়ে না। ফলে সামগ্রিক রপ্তানির উপর বড়সড় কোনও আঘাতের সম্ভাবনা নেই।'
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, কিছু নির্দিষ্ট খাত বাদ দিলে বাকি ক্ষেত্রগুলিতে রফতানিতে শুল্কের প্রভাব পড়বে না। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে সরকার। প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি
বর্তমানে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (Bilateral Trade Agreement - BTA) নিয়ে আলোচনা চলছে। এই চুক্তি লাগু হলে দুই দেশই শুল্ক কাঠামো নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনার সুযোগ পাবে বলে মত আধিকারিকদের।