ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (ISS) যেতে চলেছেন ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। Axiom Space-এর Ax-4 মিশনে তিনি মহাকাশে পাড়ি দেবেন। ISS-এ গিয়ে তিনি জিরো গ্র্যাভিটি নিয়ে কাজ করবেন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যেতে চলেছেন এমন প্রথম ভারতীয় তিনি। এর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিসাবে সুনীতা উইলিয়ামস একাধিকবার গিয়েছেন।
এই মিশন ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে হচ্ছে। ফলে ভারতকেও এই মিশনে বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। Axiom Space জানিয়েছে, এই মিশনের খরচ ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৩৮ কোটি টাকা। এই খরচ Blue Origin বা Virgin Galactic-এর মতো সংস্থার তুলনায় অনেক বেশি।
তবে এই টাকা শুধু রকেটে করে যাওয়ার জন্যই নয়। Axiom Space এই মিশনকে ‘এক বছরের মহাকাশ প্রশিক্ষণ অভিযান’ বলছে। ট্রেনিং ৮ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলবে। NASA, SpaceX, ESA এবং JAXA-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ট্রেনিং দেওয়া হবে। মোট ৭০০ থেকে ১,০০০ ঘণ্টার ট্রেনিং হবে। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, ISS-এর কার্যপদ্ধতি এবং লঞ্চ অপারেশন, সবকিছু নিয়েই ট্রেনিং হবে।
Axiom Space-এর এই মিশন প্রায় দু’সপ্তাহ স্থায়ী হবে। এই সময় মহাকাশচারীরা ISS-এ বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ করবেন।
Axiom-এর মিশনের জন্য আট থেকে দশ মাসের কঠোর ট্রেনিং নিতে হয়। (ছবি: Axiom)
Ax-4 মিশনে যে শুধু ভারতই আছে, তা নয়। পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির সঙ্গেও সরকারি স্তরে চুক্তি রয়েছে। এইসব দেশের নিজেদের স্পেস প্রোগ্রাম সেভাবে নেই। ফলে খরচ বাঁচাতে Axiom-কে কনট্র্যাক্ট দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাকাশ অভিযানের জন্য যে বিপুল খরচ হয়, তার তুলনায় ৭০ মিলিয়ন ডলার কিছুই নয়।
Axiom Space শুধুমাত্র স্পেস ফ্লাইটই নয়, আগামিদিনে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন তৈরি করতে চায়। অর্থাৎ, স্পেস স্টেশন বানিয়ে সেগুলি বিভিন্ন দেশকে গবেষণার কাজে ভাড়া দিতে চায়। ISS-এর বিকল্প হিসেবে এই স্টেশন তৈরি করা হবে।
শুভাংশু শুক্লার এই অভিযানে শুধু ভারতেরই গৌরব বৃদ্ধি হবে না। এটি আন্তর্জাতিক স্তরে বেসরকারি মহাকাশ ভ্রমণের দুনিয়ায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।