ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে অবিরাম মিসাইল বর্ষণ চলছে। গত শুক্রবার থেকে চলা সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। বুধবার ষষ্ঠ দিনে পড়েছে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল। তবে ইরানের ছোড়া মিসাইল প্রতিহত করতে ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইরান যদি লাগাতার মিসাইল ছোড়ে, তবে তা প্রতিহত করতে ইজরায়েলকে বেগ পেতে হবে।
গত শুক্রবার অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করেছে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে চারশোরও বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান। অধিকাংশ মিসাইলই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে আগামী দিনে মিসাইল ডিফেন্সে সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে ইজরায়েল।
জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স মজুতে টান পড়ছে। আমেরিকা যদি সরবরাহ না করে বা সরাসরি হস্তক্ষেপ না করে, তা হলে বড়জোর আর ১০-১২ দিন মিসাইল ডিফেন্স ব্যবস্থা সামাল দিতে পারবে ইজরায়েল। সেক্ষেত্রে ইরান যদি আরও হামলা চালায়, তাহলে তা প্রতিহত করতে হিমশিম খেতে হবে ইজরায়েলকে।
শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের মিসাইল ডিফেন্স ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণেও মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে। আয়রন ডোম, অ্যারো সিস্টেমের মতো মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে ইজরায়েলকে। সে দেশের সংবাদপত্র দ্য মার্কারের খবর অনুযায়ী, প্রতি রাতে মিসাইল ডিফেন্স ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য খরচের অঙ্ক ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। শুধু অ্যারো সিস্টেমেই মিসাইল প্রতি খরচ ৩ মিলিয়ন ডলার।
তেল আভিভের আধিকারিকরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন যে, ইরানের এক তৃতীয়াংশ মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। তবে গোয়েন্দা খবর বলছে, ইরানে মজুত করা মিসাইলের এখনও অর্ধেকের বেশি সুরক্ষিত রয়েছে। যার একটা বড় অংশ ভূগর্ভস্থ স্থানে লুকিয়ে রাখা আছে। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে ইজরায়েলের।