সম্প্রতি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন আমেরিকার বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমানের মাধ্যমে হামলার পর, দেশটির প্রথম প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা (AEOI) স্পষ্ট জানিয়েছে, এই হামলায় কোনও প্রাণহানি হয়নি এবং তেজস্ক্রিয়তার কোনও ধরনের লিক বা বিকিরণের আশঙ্কাও নেই।
রবিবার সকালের এই অভিযানে আমেরিকা ইরানের ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে 'অত্যন্ত সফল' বলে বর্ণনা করেন এবং দাবি করেন, ফোর্ডো সেন্টার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাঁর কথায়, 'ফোর্ডো এখন ধ্বংস।'
অন্যদিকে, ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই আইনি পথে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি আশ্বস্ত করেছে, পারমাণবিক নিরাপত্তা পরীক্ষায় কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, ইরান জানিয়েছে, এই হামলা তাদের ‘জাতীয় শিল্প’ বলে অভিহিত পারমাণবিক কর্মসূচিকে বন্ধ করতে পারবে না। বরং তারা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক উন্নয়নের অধিকার বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও তারা এই হামলার নিন্দা জানানোর ও ইরানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ফের চরমে উঠেছে পশ্চিম এশিয়ায়। ট্রাম্প যেমন ফের আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেমনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, “শান্তি আসে শক্তি থেকে।”