অষ্টম দিনে পড়ল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ। তার মাঝেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল। এক সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলবে ইরান। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা। তবে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে গেল?
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যা যা সরঞ্জাম আবশ্যক, তার সবকিছুই এই মুহূর্তে ইরানের কাছে রয়েছে। শুধু আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের অনুমতির অপেক্ষা, তারপর এক সপ্তাহের মধ্যেই পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলবে ইরান।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, 'স্পষ্ট করে জেনে নিন, পরমাণু বোমা তৈরি করার জন্য যা যা প্রয়োজন, সবটাই রয়েছে ইরানের হাতে। অপেক্ষা কেবলমাত্র সুপ্রিম লিডারের অনুমতির।' তাঁর মতে, অনুমতি মিললে এক সপ্তাহের মধ্যই পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলবে ইরান। কেবলমাত্র ইজরায়েল নয়, এই পরমাণু বোমা তৈরির জেরে আশঙ্কার মেঘ রয়েছে আমেরিকার উপরও। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যারোলাইন লিয়াভিট। তিনি বলেন, 'কেবলমাত্র ইজরায়েল নয়, এই পরমাণু বোমা আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের অস্তিত্ব নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করেছে।'
হোয়াইট হাউসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে এই সংঘাতের সমাধান চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরি করা থেকে আটকানো।
এদিকে, ইরানে আমেরিকা আদৌ হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, 'সমঝোতার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ইরানের সঙ্গে আগামী দিনে সেটা হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। ২ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।' দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ইরানে হামলা চালাতে চলেছে আমেরিকা। সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্দেশ দেননি তিনি। সূত্রের খবর, পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ ইরান থামায় কিনা, তার জন্য খানিকটা অপেক্ষা করছে আমেরিকা। পরমাণু অস্ত্রের কারবারের কাজ থেকে ইরান বিরত না হলেই কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটবে ওয়াশিংটন।