Gaza Peace Plan: গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত ইজরায়েল ও হামাস, এবার ঠিক কী হবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার এবং তুরস্ক নিশ্চিত করেছে যে যতক্ষণ পর্যন্ত উভয় পক্ষই এর শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণ পুনরায় শুরু হবে না। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইজরায়েলি সেনা সরার সঙ্গে সঙ্গে হামাস এই সপ্তাহান্তে ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেবে।

Advertisement
গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত ইজরায়েল ও হামাস, এবার ঠিক কী হবে?গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত ইজরায়েল ও হামাস, এবার ঠিক কী হবে?
হাইলাইটস
  • ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন
  • তাঁরা একে অপরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইজরায়েল এবং হামাস আমেরিকার মধ্যস্থতায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য হল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করা। হামাস গাজা চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার মিশরে স্বাক্ষরিত হবে। ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য গাজায় অবিলম্বে পাঁচটি ক্রসিং খুলে দেওয়া, গাজা প্রত্যাহারের মানচিত্রে পরিবর্তন আনা এবং প্রথম ধাপে জীবিত ২০ জন ইজরায়েলি বন্দির মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার এবং তুরস্ক নিশ্চিত করেছে যে যতক্ষণ পর্যন্ত উভয় পক্ষই এর শর্ত মেনে চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণ পুনরায় শুরু হবে না। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইজরায়েলি সেনা সরার সঙ্গে সঙ্গে হামাস এই সপ্তাহান্তে ২০ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'এর অর্থ হল খুব শীঘ্রই সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইজরায়েল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে তার সেনা প্রত্যাহার করবে, যা একটি শক্তিশালী ও স্থায়ী শান্তির দিকে প্রথম পদক্ষেপ হবে। সকল পক্ষের প্রতি ন্যায্য আচরণ করা হবে।'

ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু ফোনে কথা বলেছেন

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা একে অপরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতা তাঁদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্পকে ইজরায়েলি নেসেটে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নেতানিহাহু।

সকল পক্ষ চুক্তি নিশ্চিত করেছে

বুধবার গভীর রাতে ইজরায়েল, হামাস এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার গাজা শান্তি চুক্তির প্রাথমিক পর্যায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে, আলোচকরা গাজার শাসনব্যবস্থা নাকি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের মতো আরও বিতর্কিত বিষয়গুলির সমাধান করেছেন তা স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, এই অমীমাংসিত বিষয়গুলি সমাধানের জন্য মিশরে আলোচনা চলবে, যা চুক্তির পরবর্তী পর্যায়গুলিকে রূপ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে... 

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল, মিশর এবং কাতারের আলোচকরা সোমবার থেকে মিশরের রিসোর্ট শহর শারম আল-শেখে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের কাঠামো চূড়ান্ত করেছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানিও আলোচনায় ছিলেন। কাতার মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

'ইজরায়েলের জন্য একটি বড় দিন...' 

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, 'এটি ইজরায়েলের জন্য একটি বড় দিন। আগামীকাল আমি সরকারকে এই চুক্তি অনুমোদন করার এবং আমাদের সকল প্রিয় বন্দিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাব। আমি আইডিএফ এবং সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসী সেনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের সাহস এবং ত্যাগের ফলে আমরা আজ এই পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছি। আমাদের বন্দিদের মুক্তির এই অভিযানে অবদান রাখার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর দলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। একসঙ্গে আমরা আমাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জন এবং আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। আমাদের সমস্ত বন্দিদের ফেরানো হবে। এটি একটি কূটনৈতিক সাফল্য এবং ইজরায়েল রাষ্ট্রের জন্য একটি জাতীয় ও নৈতিক জয়। আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছি আমাদের সমস্ত বন্দিদের ফিরিয়ে না দেওয়া এবং আমাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।'

POST A COMMENT
Advertisement