ইজরায়েল বড়সড় হামলা চালানো ইরানে। সে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার ইরানের ৬টি সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভেঙে ফেলা হয়েছে ইরানের ১৫টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার। ইজরায়েলি ভূখণ্ডে এই ফাইটার জেটগুলি নিয়েই হামলার ছক কষেছিল ইরান, তাই এই অপারেশন বলে জানিয়েছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, F-14, F-5 এবং AH-1 এয়ারক্র্যাফ্ট ইরানি সেনা ঘাঁটিতে ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট, রানওয়ে এবং ভূগর্ভস্থ অ্যাপার্টমেন্টও ধ্বংস করা হয়েছে ইজরায়েলি সেনা হামলায়। একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'ইরানের আকাশ দখল করা হয়েছে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স ৬টি ইরানি সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করেছে এবং পশ্চিম-পূর্ব ও মধ্য ইরানে হামলা চালিয়েছে। সারফেস টু সারফেস মিসাইল ছোড়া হয়েছে। ইজরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ নেব আমরা।'
একদিন আগেই ইরান ঝাঁকে ঝাকে মিসাইল ছুড়েছিল ইজরায়েলে। তেল আভিভ, হাইফার মতো জনবহুল শহরে ছোড়া মিসাইলে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, ইজরায়েলের উপর ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানের সংবাদ সংস্থা IRNA জানিয়েছে, রবিবার ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে ইজরায়েলের উদ্দেশে। যার মধ্যে রয়েছে এই অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইরানের দাবি, ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নজর এড়িয়ে এই মিসাইল আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে আমেরিকার আক্রমণের পর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পশ্চিম এশিয়ায় অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দিল রাশিয়া, চিন এবং পাকিস্তান।
ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের ১১ দিন অতিক্রান্ত। আমেরিকার হামলার পর ইজরায়েলের উপর আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল ইরান। তেল আভিভ, হাইফা-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে শুরু হয়েছে মিসাইল হানা। মুহুর্মুহু বাজছে সাইরেন। ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নজর এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যে কোনও মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। এপি সূত্রে খবর, ইজরায়েলের হামলায় ইরানে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫০ জন।