মিসাইল হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো উচিত ইজরায়েলের। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন যে ইরান ও ইজরায়েলে যুদ্ধ এড়ানো উচিত। সেই মন্তব্যকে খোঁচা দিয়ে ট্রাম্প বলেন,'সাংবাদিকরা তাঁকে (বাইডেন) জিজ্ঞাসা করেছিল, ইরান সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন? আপনি কি ইরানকে আঘাত করবেন? জবাবে তিনি বলেন, যতক্ষণ তারা পারমাণবিক সামগ্রীতে আঘাত না করে। এটাই আপনি আঘাত করতে চান, তাই না?'
ট্রাম্প বলেন,'যা আঘাত করার কথা সেটা কি তা নয়? আমি বলতে চাইছি এটি আমাদের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি, পারমাণবিক অস্ত্র। ইরানের পারমাণবিক সাইটগুলিতে আক্রমণ করতে ইজরায়েলকে বলা উচিত ছিল বাইডেনের এবং পরে অন্য সবকিছু নিয়ে চিন্তা করুন। যদি তারা এটি করতে যায় তবে তাদের পরিকল্পনা যাই হোক না কেন আমরা তা খুঁজে বের করব।'
ইজরায়েল বেছে বেছে হিজবুল্লার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে। হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে তারা। এরপরেই ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। পাল্টা থেমে নেই ইরজায়েলও। ইজরায়েলি গণমাধ্যম এখন নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি হাশেম সফিউদ্দিনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে। একদিকে, লেবানন ও ইরান, অন্যদিকে ইজরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরি যুদ্ধের দামামা বাজার আশঙ্কায় মুখ খোলেন বাইডেন। তিনি বলেন,'দেখুন, আমি বিশ্বাস করি না যে সেখানে সর্বাত্মক যুদ্ধ হোক, আমি মনে করি আমরা এটি এড়াতে পারি।' ইজরায়েলকে সাহায্য করার জন্য আমেরিকান সেনা পাঠাবেন কিনা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই ইজরায়েলকে সাহায্য করেছি। আমরা ইজরায়েলকে রক্ষা করতে যাচ্ছি।'
উল্লেখযোগ্যভাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি ইজরায়েলের ওপরে ইরানের হামলাকে আইনি ও বৈধ এবং অপরাধের ন্যূনতম শাস্তি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ইজরায়েল গুপ্তহত্যা, ধ্বংস, বোমাবর্ষণ এবং অসামরিক লোকদের হত্যার মাধ্যমে জয়ের ভান করে। এই আচরণ প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা বাড়িয়েছে। এই বাস্তবতা আমাদের দেখায় যে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যে কোনও গোষ্ঠীর দ্বারা শুরু করা প্রতিটি হামলাই এই অঞ্চলের এবং সমগ্র মানবতার সেবা।'