আবারও একবার শিরোনামে ইজরায়েল (Israel)। সম্প্রতি ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ধেয়ে এসেছে প্যালেস্তাইন (Palestine)-হামাসের (Hamas) রকেট। পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়েলেও। আর দুপক্ষের এই আঘাত-প্রত্যাঘাতে এই মুহূর্তে বেশ সরগরম পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্য। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও দফায় দফায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে এই দেশ। রক্তাক্ত হয়েছে উভয়েরই মাটি। প্রাণ গিয়েছে দুপক্ষের মানুষেরই। এবার আবারও সেই একই পরিস্থিতি।
ইতিহাস বলছে শুধু প্যালেস্তাইন-হামাসই নয়, স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সময় আরও একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়েছে ইজরায়েল। ১৯৪৮ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৪ মে ব্রিটিশ শাসনের থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে এই দেশটি। তবে সেই সময় অবশ্য রাষ্ট্রটির নাম ছিল 'স্টেট অফ ইজরায়েল'। পরবর্তী ক্ষেত্রে শুধু ইজরায়েল রাখারই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাধীনতার পর ইজরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ডেভিড বেন-গুরিয়ন। কার্যত স্বাধীনতার কিছু পর থেকেই শুরু হয়ে যায় ইজরায়েলের যুদ্ধের ইতিহাস।
এর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্য আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত চলেছিল এই সংঘর্ষ। এই সময়কালের মধ্যে ইজরায়েল ৩ জন প্রধানমন্ত্রীকে পায়। কিন্তু যুদ্ধ জারি ছিল। একসময় সেই যুদ্ধ সুয়েজ খাল বরাবর এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৯৭০ সালে যুদ্ধবিরতির মধ্যে দিয়ে সেই সংঘর্ষ থামে। তবে সেই লড়াই থামলেও ইজরায়েলের যুদ্ধের ইতিহাস থেমে থাকেনি। ২০০৬ সালে লেবাননের (Lebanon) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইজরায়েল। ওই বছর ১২ জুলাই শুরু হয় সেই সংঘর্ষ, যা ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ বা জুলাই যুদ্ধ নামে পরিচিত। লাগাতার ৩৪ দিন চলার পর ১৪ অগাস্ট সংঘর্ষ থামে।
এরপর ২০১৪ সালে ৭ জুলাই মধ্যরাতে গাজায় আক্রমণ চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় ২,১৪৩ জন প্যালেস্তানিয়র মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তার ঠিক ৪ বছর পর ২০১৮ সালের এই ১৪ মে-তেই গাজায় ফের একবার হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। সেই হামলায় ৫৮ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আর সেই দুটি হামলাই হয়েছিল ইজরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) শাসনকালে। এবার ইজরায়েলের ওপরে যে রকেট হামলা হয়েছে তারও কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যেই পদক্ষেপও করতে শুরু করেছে ইজরায়েল। যাকে ঘিরে রীতিমতো তৈরি হয়েছে আরও এক যুদ্ধের আশঙ্কা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবারের পরিস্থিতি।