গাজায় হামাসকে শায়েস্তা করতে এবার ভাতে মারার পথে হাঁটতে চলেছে ইজরায়েল। উত্তর গাজায় হামাস গোষ্ঠীর সদস্যদের ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বার্তা, হয় আত্মসমর্পণ করো, না হলে না খেয়ে থাকো। ইজরায়েল সেনা উত্তর গাজার বাসিন্দাদের আবেদন করেছে, তাঁরা যেন দক্ষিণ গাজায় চলে যান। উত্তর গাজা খালি করে দিতে হবে।
ভাতে মারার প্ল্যান ইজরায়েলের
উত্তর গাজায় হামাসদের বিরুদ্ধে এবার কী ধরনের পদক্ষেপ করতে চলেছেন নেতানিয়াহু? আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, ইজরায়েলের অধীনে থাকা ওই অঞ্চলে সব রকম ত্রাণ বন্ধ করে দিতে পারে নেতানিয়াহু প্রশাসন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় সাধারণ মানুষকে জল, খাবার, ওষুধপত্র, জামা-কাপড় দিয়ে সাহায্য করছে ইজরায়েল। সেই সাহায্য বন্ধ করে দেবে। ইজরায়েলের প্ল্যান হল, উত্তর গাজায় হামাস সদস্যদের না খাইয়ে মারা। কিন্তু হামাসকে শায়েস্তা করতে গিয়ে কয়েক হাজার প্যালেস্তিনিয়ানও জল ও খাবার পাবেন না, সেই আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।
গাজায় ত্রাণ দেওয়া বন্ধ করার প্ল্যান
গত ১ অক্টোবর থেকে গাজায় কোনও ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার ১০ লক্ষ মানুষের না খেয়ে দিন কাটানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় হামাসের উপস্থিতি ও তাঁদের পরিকাঠামোর বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর গত সপ্তাহে স্থল অভিযান শুরু করে ইজরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় হামাস নতুন করে হামলা চালানোর সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা করছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে নতুন করে যে স্থল অভিযান চালানো হচ্ছে, তা শুধু জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরেই সীমাবদ্ধ নেই।
উত্তর গাজা বধ্যভূমি, খাবার-জল বন্ধ
উত্তর গাজাকে এই ভাবে অবরুদ্ধ করে ত্রাণ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইজরায়েলের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জিওরা আইলান্দ। আইলান্দের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। কিন্তু ইজরায়েলের কার্যকলাপে দেখা যাচ্ছে, আইলান্দের প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রয়েছে।