Israel Iran Trump: ট্রাম্পের নিষেধ সত্ত্বেও ইরানে হামলা ইজরায়েলের, 'আক্রমণ থামবে না', বলছেন নেতানিয়াহু

ইরান-ইজরায়েলের 'সংঘর্ষ বিরতি'। কয়েক ঘণ্টাও গেল না। ফের চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরান সংলগ্ন এক রাডার ঘাঁটিতে বিমানহানা চালাল ইজরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে মোটেও খুশি হননি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় ইজরায়েল। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন 'হামলা বন্ধ করা সম্ভব নয়, ইরানের হামলার যোগ্য জবাব দেওয়াটা জরুরি।'

ইজরায়েলি সেনার দাবি: ইরানই সংঘর্ষ বিরতি ভেঙেছে
ইজরায়েলের দাবি, ইরানই প্রথমে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দু'টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছে। তার জবাবেই মঙ্গলবার তেহরানের কাছে আঘাত হানে ইজরায়েলের বিমান। যদিও এটি ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’ বলেই ব্যাখ্যা ইজরায়েলের সেনা কর্তৃপক্ষের।

ইরানের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ইরানের বাবোলসার শহরে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েল সেনার রেডিও-তেও বলা হচ্ছে যে, ইরানের এই রাডার ঘাঁটিই তাদের টার্গেট ছিল। সেখানেই বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।

ট্রাম্পের ক্ষোভ: 'আমি বলেছিলাম, বোমা ফেলো না'
সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস লনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, 'ওরা এত দিন ধরে লড়ে চলেছে যে, নিজেরাও জানে না ঠিক কী করছে।' ট্রাম্প জানান, তিনি 'সিজ ফায়ারে'র পর আর নতুন করে কোনও অশান্তি চান না। সেই কারণে দুই পক্ষকেই অনুরোধও করেছিলেন বলে দাবি করেন।

এরই মধ্যে হঠাৎ তাল কাটল মঙ্গলবার ট্রাম্পের এক পোস্টে। ট্রুথ সোশ্যালে হঠাৎ তিনি ইজরায়েলকে অনুরোধ করেন, 'পাইলটদের ফিরিয়ে নাও, বোমা ফেলো না।' অর্থাৎ, কিছু যে হতে চলেছে, তা আগেভাগেই জানতে পেরেছিলেন ট্রাম্প।

কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেই হামলা চালাল নেতানিয়াহু-র সেনাবাহিনী। আর তারপরেই বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। ক্ষোভের বশে অশ্রাব্য শব্দও ব্যবহার করে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে।

ইরান যা বলছে...
হামলার পর এক ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড (IRGC) এক বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, 'এটা হুঁশিয়ারি নয়, এটা একটা প্ররোচনা।'

ইরানও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এর জবাব দেওয়া হবে। দ্বিগুণ প্রত্যাঘাতের হুশিয়ারি দিয়েছে ইরান।

সব মিলিয়ে ফের অশান্ত পশ্চিম এশিয়া 
'সিজ ফায়ারে'র পরও এই ধরনের আক্রমণের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগে আন্তর্জাতিক মহল। ইরান ও ইজরায়েল, দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। ফের যেন নতুন করে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যে।

বিশ্লেষকদের মতে, আগামিদিনে ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে চলেছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে।