ইরান সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর হুমকির জের। লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইজরায়েল। পাল্টা আক্রমণ করেছে হিজবুল্লাহও। তাদের তরফে ইজরায়েলের ১১টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৩২০টি ড্রোন হামলা চালানো হয়। তারা হামলার দায় স্বীকারও করে নিয়েছে। জানানো হয়েছে, কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হামলা। এদিকে হামলার জেরে বিপর্যস্ত ইজরায়েল। সেখানে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালালেও তারা সম্পূর্ণরূপে সফল তা এখনই বলা যাবে না। উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে সময় লাগবে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট আমেরিকার লয়েড অস্টিনের সঙ্গে এই হামলা নিয়ে কথাও বলেছেন।
টাইমস অফ ইজরায়েল এই নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। গ্যালান্টকে উদ্ধৃত করে সেখানে লেখা হয়েছে, 'ইজরায়েলের মানুষের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা চালানো হয়েছে। সেজন্য আমরা লেবাননে হামলা চালিয়েছি। আমরা দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। সেজন্য যা যা করণীয় সব করা হবে।'
এদিকে ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর শক্তি প্রদর্শনের জেরে চিন্তিত আমেরিকা। দুই দেশের উপর নজর রাখছে জো বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট বলেন, 'শান্তি কাম্য। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিষয়টার উপর খেয়াল রাখছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আলাপ-আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'আজ সকালে আমরা হিজবুল্লাহর ইজরায়েলে হামলার পরিকল্পনার তথ্য পেয়েছি। ইজরায়েলের নাগরিকদের যে পরামর্শ দেওয়া হবে তা যেন তারা মেনে চলে। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সরকার ও সেনার কথা শুনুন। তাহলে নিরাপদে থাকবেন।'
ইজরায়েলের মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করছেন। ইজরায়েলের তরফে দক্ষিণ লেবাননে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া হয়েছে। যদিও লেবাননও চুপ করে বসে থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তারাও হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর।