Jaffar Express: লাইনচ্যুত পাকিস্তানের সেই জাফর এক্সপ্রেস, ফের বড় হামলার ছক বালোচ লিবারেশন আর্মির?

ফের দুর্ঘটনার কবলে সেই জাফর এক্সপ্রেস। এবার বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হল এক্সপ্রেসটি। ঘটনাস্থল জাফরাবাদ। এবারও কি নাশকতার ছক ছিল বালোচ লিবারেশন আর্মির?

Advertisement
লাইনচ্যুত পাকিস্তানের সেই জাফর এক্সপ্রেস, ফের বড় হামলার ছক বালোচ লিবারেশন আর্মির? জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক (বাঁ দিকে), জাফর এক্সপ্রেস ফাইল ছবি (ডান দিকে)
হাইলাইটস
  • লাইনচ্যুত হল পাকিস্তানের সেই জাফর এক্সপ্রেস
  • বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে, তারপরই দুর্ঘটনা
  • নেপথ্যে কি আবারও বালোচ লিবারেশন আর্মি?

পাকিস্তানে বড়সড় রেল দুর্ঘটনা। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পরই পেশওয়ার থকে কোয়েটাগামী জাফর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর পায়নি। 

মাত্র কয়েকমাস আগে এই জাফর এক্সপ্রেসকেই বালোচ লিবারেশন আর্মি হাইজ্যাক করেছিল। ২১৪ যাত্রীকে বন্দি করেছিল তারা। ট্রেনে পাকিস্তানি সেনা কর্মীরাও ছিলেন। যাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হত্যাও করেছিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। 

২০১৮, ২০১৩, ২০২৪ সালে প্রতিবারই প্রায় একই কায়দায় বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেসকে নিশানা করেছেন। এই এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছেন। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের পঞ্জাবগামী এই এক্সপ্রেসে নাশকতার ছক কষেছিল স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র বালুচ গোষ্ঠী BLA (বালোচ লিবারেশন আর্মি)-র বিদ্রোহীরা। কিন্তু সেই হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় ট্রেনটি। লাইনের উপর বিস্ফোরক রেখে ট্রেনটিকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই বিস্ফোরক রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে সময়ের হেরফেরে সেই যাত্রাই রক্ষা পেয়েছিল জাফর এক্সপ্রেস। ট্রেনের ২০০ ফুট দূরে রেললাইনে বিস্ফোরণ হয়। জাফর এক্সপ্রেসে সাধারণ যাত্রী থাকে বটে, তবে বিশেষত পাক সেনার কর্মীরাই এই ট্রেন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন। ২০১৮ সাল থেকে বিদ্রোহীদের হামলার কৌশলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। বেশির ভাগ সময়ই আত্মঘাতী হামলাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। 

সেক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে, জাফর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার নেপথ্যে হাত রয়েছে সেই বালোচ লিবারেশন আর্মিরই। 

 

POST A COMMENT
Advertisement