জইশ-ই-মহম্মদের মগিলা ব্রিগেডএবার মহিলাদের জঙ্গি বাহিনী তৈরি করেছে জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠী। নাম রাখা হয়েছে 'জামাত-উল-মোমিনত'। এই বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বোন। বাহাওয়ালপুর থেকে শুরু হয়েছে এই বাহিনীর জন্য জঙ্গি নিয়োগ।
নয়া চালে হামলার পরিকল্পনা করছে মাসুদ আজহার প্রতিষ্ঠিত এই জঙ্গি বাহিনী। নয়া এই বাহিনীর মহিলা জঙ্গিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে সহজেই হামলা চালাতে পারবে, এই পরিকল্পনাতেই তৈরি করা হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের 'জামাত-উল-মোমিনত' বাহিনী। জানা গিয়েছে, মহিলা জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন খোদ কুখ্যাত জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহার।
বাহাওয়ালপুর, ঠিক যে এলাকায় 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়ে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা, সেখানকার উসমান-ও-আলি থেকে মহিলা জঙ্গিদের নিয়োগ শুরু হয়েছে। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। জইশ-ই-মহম্মদের প্রোপাগান্ডা প্ল্যাটফর্ম আল-কালাম মিডিয়াতে এই মর্মে প্রকাশিত হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি।
সূত্রের খবর, জইশ-ই-মহম্মদের এই মহিলা উইংয়ের নেতৃত্ব দেবে মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার। তার স্বামী ইউসুফ আজহার ভারতীয় সেনার হাতে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানে নিকেশ হয়েছিল। জইশ-ই-মহম্মদের মার্কাস সুভান্নালা সেন্টারে গত ৭ মে যখন ভারতীয় সেনা হামলা চালিয়েছিল, সে সময়েই নিকেশ হয় ইউসুফ আজহার।
জানা গিয়েছে, যে সমস্ত জইশ কমান্ডাররা ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে, তাদের স্ত্রীদের এই মহিলা বাহিনীতে নিয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও বাহওয়ালপুর, করাচি, মুজফফরাবাদ, কোটলি, হরিপুর এবং মানশেরা এলাকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে এই গোষ্ঠীর জন্য।
উল্লেখ্য, এর আগে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীদের মহিলাদের নিয়োগ নিয়মবিরুদ্ধ ছিল। মহিলাদের হাতে অস্ত্র তোলাও নিষিদ্ধ ছিল। কোনও জিহাদ আন্দোলনেও তাদের অংশ নিতে দেওয়া হত না। তবে 'অপারেশন সিঁদুর'-এ ভয়াবহ হামলার পর নিজেদের চাল বদল করে ফেলেছে কুখ্যাত এই জঙ্গি গোষ্ঠী। মাসুদ আজহার এবং তার ভাই তালহা আল-সইফ যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সস্ত অপারেশনে এবার থেকে যুক্ত করা হবে মহিলাদেরও। যার শুরুটা হল বিশেষ এই মহিলা ব্রিগেড তৈরির মাধ্যমে, সূত্র মারফত খবর এমনটাই।
ISIS, বোকো হারাম, হামাস এবং LTTE এর আগে মহিলা জঙ্গিদের নানা অপারেশনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। মহিলা সুইসাইড অ্যাটাকারও তৈরি করেছে এই সংগঠনগুলি। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা,হিজবুল মুজাহিদিনের তো জঙ্গি দলগুলি সেদিক থেকে বরাবরই গোঁড়া মানসিকতার। তবে সূত্রের খবর, আধুনিকতার পথে বা বাড়িয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। এবার তারাও মহিলা আত্মঘাতী বোমা নিক্ষেপের প্ল্যান ছকছে।