মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতাদের নিয়ে শঙ্কায় FBI। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংগঠন ফাইভ আইজ-কে তথ্যও দিয়েছে তারা। এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন ইভেন্টে বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করকে এমনই প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে তিনি বলেন, 'ভুল লোককে প্রশ্নটা করছেন। আমি ফাইভ আইজ বা এফবিআই-এর কেউ নই।'
'ফাইভ আইজ' নেটওয়ার্ক
এটি আসলে একটি গোয়েন্দা জোট বলা যেতে পারে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড রয়েছে। এই দেশগুলির গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পরস্পরের সঙ্গে গোয়েন্দা তদন্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের 'সম্ভাব্য' জড়িত থাকা নিয়ে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তারপরেই পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকেও কানাডার উদ্দেশে বার্তা দেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, 'কোনও কোনও দেশ এখনও এজেন্ডা মেনে চলে। নিজের রাজনৈতিক সুবিধামতো সন্ত্রাস দমন করব, এই মানসিকতা থাকাটা ঠিক নয়।'
এদিন জয়শঙ্করকে বলা হয়, কানাডার ভারতীয় আধিকারিকরা নিজ্জারের উপর হামলার বিষয়ে আগে থেকে জানতেন। 'আপনি কি বলতে চাইছেন কানাডিয়ানরা আমাদের নথি দিয়েছিল?' পাল্টা প্রশ্ন করেন জয়শঙ্কর।
'আমি তো বলেছিই, কেউ যদি আমাদের নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক তথ্য দেয়, আমরা তা দেখার জন্য প্রস্তুত,' সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
মঙ্গলবার সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, ভারত কানাডাকে পূর্ণ আশ্বাসবাণীও দিয়েছে। খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার বিষয়ে যে কোনও 'নির্দিষ্ট' বা 'প্রাসঙ্গিক' তথ্য প্রয়োজন হলে তা দিতে ভারত প্রস্তুত, জানিয়েছেন তিনি।
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্বের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, 'আমরা কানাডিয়ানদের বলেছিলাম, এটি ভারতের নীতি নয়। আপনাদের যদি নির্দিষ্ট কিছু জানার থাকে এবং প্রাসঙ্গিক কিছু যদি থাকে, তবে আমাদের জানান। আমরা সেটা খতিয়ে দেখার জন্য প্রস্তুত। তবে প্রাসঙ্গিকতা না থাকলে এর কোনও মানেই হয় না।'