প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে ফের ভোটে দাঁড়াবেন বলছেন। কিন্তু NBC-র সূত্রের খবর, তাঁর পরিবারই সেটা চায় না।
কিন্তু বিষয়টা অতটা সহজ নয়...
রিপাবলিকান দল ইতিমধ্যেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাঁড় করাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে জো বাইডেন নিজেও আগে বারবার বলেছেন যে তিনিই ভোটে দাঁড়াবেন। তবে জো বাইডেনের সমালোচক তো বটেই, ডেমোক্রাটিক পার্টির(বাইডেনের দল) অনেকেই বলছেন, এবার তাঁর অবসর নেওয়াই শ্রেয়। বার্ধক্যের কারণে আর আগের মত 'শক্ত-সামর্থ্য' নেই বাইডেন। তাঁর পরিবারও হয় তো এটাই ভাবছে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে থেকে, সেই অবস্থায় আর ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্তটা কঠিন। কারণ দু'টো বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
প্রথমত, গত ৫ বছরে যে কাজ করেছেন, তার জন্য যেন জো বাইডেনকে ইতিবাচক, ভাল প্রেসিডেন্ট হিসাবেই মনে রাখা হয়।
দ্বিতীয়ত, ডেমোক্র্যাট দল যেন নতুন প্রার্থী দাঁড় করাতে পারে। এমনভাবে পুরো বিষয়টা করতে হবে, যাতে ডেমোক্র্যাটদের যেন কোনও সমর্থনের অভাব না হয়।
নিঃসন্দেহে বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিশেষত, সম্প্রতি হত্যার চেষ্টা থেকে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয়েছে বিরোধী পদপ্রার্থী ট্রাম্পের। এই সময় ট্রাম্পের প্রতি মার্কিনদের আস্থা, সমবেদনা, সমর্থন বাড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে এমন সময়ে বাইডেনের বদলে নতুন কাউকে এনে, তাঁকে জেতানো মুখের কথা নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বলছেন, অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন যে নভেম্বরে আর তিনি জিততে পারবেন না। ডেমোক্র্যাট সেনেটররাই অনেকে চাইছেন না তিনি ফের ভোটে লড়ুন।
বর্তমানে, জো বাইডেনের বয়স ৮১ বছর। করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পর ডেলাওয়্যারের বাসভবনে বিশ্রামে আছেন।