lebanon israel warহিজবুল্লাহ আগেই একের পর এক হামলা চালিয়েছিল। সোমবার তাদের পাল্টা দেয় ইজরায়েল। ২০০৬ সালের পর এটাই ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। এর জেরে ইজরায়েলের হাতে নিহত হন ৫৮৫ জন লেবাননের নাগরিক। যাঁদের মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যা বেশি। এদিকে লেবাননের রেডিও সিস্টেমও হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। হঠাৎ করেই সেখানকার রেডিওতে ইজরায়েলি বার্তা শোনা যাচ্ছে বলে খবর। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
পেজার, ওয়াকি-টকি এবং সৌর শক্তিকে হাতিয়ার করে লেবাননে একের পর এক বিস্ফোরণ করিয়েছে ইজরায়েল। লাগাতার বিস্ফোরণের জেরে লেবাননের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাদের সব ধরনের গ্যাজেট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবারও ইজরায়েল থেকে একটি ফোন কল করা হয়। যার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
লেবাননে ৮০ হাজারেরও বেশি ইজরায়েলি ফোন কল এসেছে। টেলিকম কোম্পানি ওগেরোর প্রধান ইমাদ ক্রেইদেহ বলেছেন, এই ধরনের কল করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি জানান, তাঁদের লড়াই হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের সঙ্গে। জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই তাঁদের নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
নেতানিয়াহু তার বার্তায় আরও জানান, হিজবুল্লাহ লেবাননের সাধারণ নাগরিকের বাড়িতে রকেট, মিসাইল রেখেছে। তাদের লক্ষ্য হল ইজরায়েল। তারা ইজরায়েলের উপর আক্রমণ করলে পাল্টা দেওয়া হবে। সেজন্য সাধারণ নাগরিকদের এই যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
টাইমস অব ইজরায়েলের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর ৫০ শতাংশ রকেট ধ্বংস করেছে। মঙ্গলবারও ইজরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহর বিপুল সংখ্যক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহও ইজরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করছে
সোমবার হিজবুল্লাহর উপর ভয়াবহ হামলার পর ইজরায়েল সরকার তাদের দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে ইজরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার আলি কারাকি নিহত হওয়ার খবর মিলেছে।