ভারত-বিরোধী সভায় পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে থাকা লস্কর জঙ্গিপহেলগাঁও হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জঙ্গিকে আবারও প্রকাশ্যে সভা করতে দেখা গেল পাকিস্তানে। লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) কমান্ডার সাইফুল্লাহ কাসুরি বুধবার একটি সভায় উপস্থিত ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিল পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাও। এই ছবিই বলে দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ এখনও কোনও পদক্ষেপই নেয়নি।
১৯৯৮ সালের ২৮ মে বালুচিস্তানে পাঁচটি ভূগর্ভস্থ পরমাণু পরীক্ষার ঘটনাকে স্মরণ করে ‘ইয়ুম-ই-তকবীর’ বা ‘মহানতার দিন’-এর ২৭তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে পাকিস্তানে। বুধবার পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ (পিএমএমএল) আয়োজিত পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরে একটি সমাবেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। সেই সভায় উপস্থিতদের মধ্যে ছিল লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ছেলে জঙ্গি তালহা সইদ। সে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়।
সমাবেশে কাসুরি বলে, 'আমাকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দোষারোপ করা হয়েছিল, এখন আমার নাম সারা বিশ্বে বিখ্যাত।' উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে কাসুরি ওরফে খালিদ এলাহাবাদে 'মুদাসসির শহিদ' নামে একটি কেন্দ্র, রাস্তা এবং হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। গোয়েন্দা সূত্রের মতে, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের পাল্টা অপারেশনে নিহত বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল জঙ্গির মধ্যে মুদাসসির আহমেদ ছিল একজন।
হাফিজ সইদের ছেলে জঙ্গি তালহা সইদ ২০২৪ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে লাহোরের এনএ-১২২ আসন থেকে লড়ে। যদিও সে হেরে যায়। যদিও নিষিদ্ধ এলইটি-র রাজনৈতিক ফ্রন্ট হিসেবে পরিচিত পিএমএমএল-র সে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। পিএমএমএল ভারত-বিরোধী প্রচার জোরদার করেছে।হাফিজ সইদের মুক্তির দাবিতে তারা পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলি - লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এছাড়াও সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করছে। এলইটি আন্তর্জাতিকভাবে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ থাকলেও পিএমএমএল-র মতো গোষ্ঠীগুলি জঙ্গি সংগঠনের রাজনৈতিক ও আদর্শিক প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাফিজ সইদকে এখনও পিএমএমএলের কার্যকলাপের পিছনে আদর্শিক শক্তি হিসেবে দেখা হয়।