French President Emmanuel Macron: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রী মহিলা না পুরুষ? আদালতে প্রমাণ দিতে হচ্ছে

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ মার্কিন আদালতে ছবি এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উদ্দেশ্য, মার্কিন ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের দাবি খণ্ডন করা। যেখানে তিনি বারবার বলেছেন, ব্রিজিট আসলে ট্রান্সজেন্ডার নারী।

Advertisement
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রী মহিলা না পুরুষ? আদালতে প্রমাণ দিতে হচ্ছেফরাসি প্রেসিডেন্ট দম্পতি।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ মার্কিন আদালতে ছবি এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
  • উদ্দেশ্য, মার্কিন ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের দাবি খণ্ডন করা। যেখানে তিনি বারবার বলেছেন, ব্রিজিট আসলে ট্রান্সজেন্ডার নারী।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ মার্কিন আদালতে ছবি এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উদ্দেশ্য, মার্কিন ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের দাবি খণ্ডন করা। যেখানে তিনি বারবার বলেছেন, ব্রিজিট আসলে ট্রান্সজেন্ডার নারী।

৭২ বছর বয়সী ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিট, যিনি তিন সন্তানের মা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে একেবারেই ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর বলে দাবি করেছেন। দম্পতির আইনজীবী টম ক্লেয়ার বিবিসির ফেম আন্ডার ফায়ার পডকাস্টে বলেন, 'এই অভিযোগগুলি অবিশ্বাস্যরকম বিরক্তিকর। বিশ্ব মঞ্চে তারা গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হলেও, তাদের বিরুদ্ধে এভাবে পরিচয় নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালানো অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং অপমানজনক।’'

মানহানির মামলা
গত জুলাই মাসে ডেলাওয়্যারে ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন ম্যাক্রোঁ দম্পতি। মামলায় তাঁরা বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য, পারিবারিক ছবি এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে প্রস্তুত।

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব
ম্যাক্রোঁ দম্পতি বরাবরই এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে দাবি করা হয় যে ব্রিজিট আসলে জন্মেছিলেন জিন-মিশেল ট্রোগনেক্স নামে এক পুরুষ হিসেবে, যিনি পরে ব্রিজিট নাম নেন। বাস্তবে, জিন-মিশেল ট্রোগনেক্স ব্রিজিটের ভাই। গত বছর ব্রিজিট ও তাঁর ভাই প্যারিসে মানহানির একটি মামলায় জিতেছিলেন। সেই মামলায় অনলাইনে ভুয়ো দাবি ছড়ানো দুই মহিলাকে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল।

ব্যক্তিগত সম্পর্ক
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রথম পরিচিত হন ব্রিজিটের সঙ্গে তাঁর স্কুল জীবনে, যখন ব্রিজিট শিক্ষকতা করতেন। তখন ব্রিজিট ছিলেন তিন সন্তানের মা ও বিবাহিত। কৈশোরেই ম্যাক্রোঁ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, একদিন তিনি ব্রিজিটকে বিয়ে করবেন। ২০০৭ সালে ব্রিজিট প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ম্যাক্রোঁকে বিয়ে করেন এবং তখন থেকেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই।

আইনজীবীর বক্তব্য
আইনজীবী টম ক্লেয়ার আরও বলেন, ‘এটা ভেবেই অবাক লাগে যে আপনাকে নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। কিন্তু মিথ্যে প্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’
 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement