ঘরের অন্দরে পরপর হামলায় একবারে জেরবার পাকিস্তান। এ বার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে আত্মঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। যদিও সেই আক্রমণ প্রতিহত করে পুলিশ। তবে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ পুলিশকর্মী। আর প্রাণ গিয়েছে ৬ জঙ্গিরও। ঘটনা পাকিস্তানের পাখতুনখাওয়া প্রদেশের।
আক্রমণ করেছে TTP
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হামলা চালিয়েছিল তেহেরিকি-ই-তালিবান পাকিস্তান নামক একটি জঙ্গি সংগঠন। জঙ্গিরা ট্রেনিং স্কুলে ঢুকে বিরাট বড় অ্যাটাক করার প্ল্যান কষেছিল। কিন্তু সেই হামলা হওয়ার আগেই পুলিশ বিষয়টা বুঝে শুরু করে প্রতিআক্রমণ। তখনই জঙ্গিরা প্রাণ হারায়। পাশাপাশি মারা যান ৩ পুলিশকর্মীও।
জানা গিয়েছে, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ডেরা ইসমাইল খানের নেতৃত্বে এই অপারেশন চলে। তাতেই মেলে সাফল্য। প্রাণ যায় জঙ্গিদের।
মাথায় রাখতে হবে বেশ কয়েকদিন ধরেই পকিস্তানে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে TTP। তারা একটু ফাঁক পেলেই হামলা চালাচ্ছে। তাতে প্রাণ যাচ্ছে দুই পক্ষেরই। যদিও পুলিশ মনে করছে, আফগানিস্তানের তালিবানও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তাই তারা আফগানিস্তান সরকারকেও দোষারোপ করছে।
ও দিকে মসজিদেও হয় হামলা
একদিকে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, অন্যদিকে আবার মসজিদেও হামলা চলে পাকিস্তানে। বেইট-উল মাহদি মসজিদে নামাজ পড়া চলাকালীনই আমাদি গোষ্ঠীর উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চেনাব শহরে ঘটেছে।
এই হামলার ফলেও কিছু ভলেন্টিয়ার আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি প্রাণ হারায় হামলাকারীও।
বারবার হচ্ছে এমন হামলা
ভারতে বারবার জঙ্গি হামলা চালানোর পর এখন নিজের ঘরেই বিপর্যস্ত পাকিস্তান। প্রায় প্রতিদিনই সেই দেশে জঙ্গি হামলার খবর সামনে আসছে। পুলিশ, সেনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট মুসলিম গোষ্ঠীর উপরও হচ্ছে আক্রমণ।
ও দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও লেগে রয়েছে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ঢেউ মাঝে মধ্যেই এসে পড়ছে রাজধানী ইসলামাবাদে। যার ফলে অবশ্যই চিন্তিত শেহবাজ ও মুনিররা। তারা কোনওভাবেই এই ধরনের হামলা, সংঘর্ষে বিরাম টানতে পারছেন না। বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে। নতুন নতুন ঝামেলা উদয় হচ্ছে। এমনকী বাড়ছে জঙ্গি হামলা। তাতে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু। এছাড়া পুলিশও নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে অনেক নিরস্ত্র মানুষের প্রাণ নিয়ে ফেলছে। যার ফলে ঘরের মধ্যেই চাপে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান। এখন দেখার এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে তারা ঠিক কোন চাল চালেন।