scorecardresearch
 

New Zeland : পর্যটন-খ্যাত হ্রদে চৌম্বকীয় গোলযোগ, ভিতরে তৈরি হচ্ছে 'Fool's Gold'

রোটারিয়ার হ্রদের নিচে তীব্র চৌম্বকীয় গোলঘোগ। যার জেরে আলোড়ন। এই হ্রদটি নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত। আসলে এটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির গর্তের কেন্দ্রস্থল।

Advertisement
Lake Lake
হাইলাইটস
  • রোটারিয়ার হ্রদের নিচে তীব্র চৌম্বকীয় গোলঘোগ
  • যা নিয়ে অবাক বিজ্ঞানীরা

রোটারিয়ার হ্রদের নিচে তীব্র চৌম্বকীয় গোলঘোগ। যার জেরে আলোড়ন। এই হ্রদটি নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত। আসলে এটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির গর্তের কেন্দ্রস্থল। পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত এই লেকে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ বেড়াতে যায়। সেই লেকে চৌম্বকীয় গোলযোগের জেরে তটস্থ বিজ্ঞানীরা। এর পরিণতি নিয়েও চিন্তিত গবেষকরা। 

রোটোরুয়া হ্রদ এমনিতেই হাইড্রোথার্মাল কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। এই হ্রদের পৃষ্ঠের চারপাশে সব সময় বাষ্পের মেঘ চলাচল করে। হ্রদের রঙ সবুজ-নীল থাকে। এর কারণ হ্রদের জলে সালফারের পরিমাণ বেশি। GNS সায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষকরা যখন এই হ্রদের মানচিত্র তৈরি করেন, তখনই তাঁরা অবাক হন।

যে মানচিত্র GNS সায়েন্স ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে সেখানে নীল রঙের প্রভাব বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, সেটাই চৌম্বকীয় গোলযোগের জায়গা। শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী কর্নেল ডি রন্ডে লক্ষ্য করেন, গর্তের ভিতর একটি বিস্ফোরণ ঘটছে। আর সেখান দিয়ে বয়ে চলেছে প্রাচীন নদী। এ ছাড়াও ম্যাগনেটিক লেভেলে ব্যাঘাত ঘটে। বিশেষ করে হ্রদের দক্ষিণ অংশে। এই মানচিত্রটি প্রথমবারের মতো হ্রদের লুকানো হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমটিও দেখায়। কিন্তু কেন এমন হল তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। 

আরও পড়ুন

প্রথমে ৫৫ বর্গ কিলোমিটার পাদদেশের একটি মানচিত্র তৈরি করা হয়। এই ৫৫  বর্গকিলোমিটার জায়গা হ্রদের তলদেশের ৬৮ শতাংশ। এর বাইরে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড নেভিও তথ্য সংগ্রহ করেছে। নৌবাহিনী হ্রদের তলদেশে শারীরিক পরীক্ষা চালায়। সেজন্য তিনি মাল্টিবিম ইকো সাউন্ডার সোনার ব্যবহার করেন। এছাড়া ম্যাগনেটিক সার্ভেও করা হয়। যাতে চৌম্বকীয় গোলযোগ শনাক্ত করা যায়।

কর্নেল জানান, আপনি যখন আগ্নেয়গিরির পাথরের উপর ম্যাগনেটোমিটার চালান, তখন একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু , এক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। সাধারণত আগ্নেয়গিরির পাথরের চৌম্বক শক্তি থাকে। অতিরিক্ত হলে তারা ম্যাগনেটাইটে পরিণত হয়। কিন্তু এই হ্রদে হাইড্রোথার্মাল প্রবাহের কারণে সেগুলো পাইরাটে রূপান্তরিত হয়েছে। যাকে 'Fool's Gold' বলা হয়। এতে কোনও চৌম্বক সংকেত নেই। চৌম্বকীয় ব্যাঘাত ছাড়াও, বিজ্ঞানীরা হাইড্রোথার্মাল কার্যকলাপের পৃথক প্রমাণও পেয়েছেন। লেকের তলদেশে প্রচুর গরম জলের প্রবাহ রয়েছে। সেখানে গর্ত রয়েছে। 
 
অথচ এত কিছুর পরও হ্রদের তলদেশে জলের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা খুব ঠান্ডা। হ্রদের বড় আকারের কারণে এমনটা হয়। নিচ থেকে প্রচুর তাপ বেরিয়ে আসে, তবেই হ্রদের জলের তাপমাত্রা মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিবর্তিত হয়। এই লেকে কাউকে সাঁতার কাটতে দেওয়া হয় না।

Advertisement

Advertisement