scorecardresearch
 

Malaria Outbreak: আগামী দিনে ম্যালেরিয়ার মশার উৎপাত আরও বাড়বে! কারণ কী?

জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) সবকিছুকে প্রভাবিত করছে। এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মশাও। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত মশার (Mosquitoe) মতো ছোট পোকামাকড়ের জন্ম এবং আচরণকেও প্রভাবিত করেছে।

Advertisement
ম্যালেরিয়ার মশার উৎপাত আরও বাড়বে ম্যালেরিয়ার মশার উৎপাত আরও বাড়বে
হাইলাইটস
  • ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে
  • ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রেও বৃষ্টি বড় ভূমিকা পালন করে

জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) সবকিছুকে প্রভাবিত করছে। এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মশাও। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত মশার (Mosquitoe) মতো ছোট পোকামাকড়ের জন্ম এবং আচরণকেও প্রভাবিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মশার পরিবর্তনশীল আচরণ ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak)  মতো রোগ প্রতিরোধে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

বিজ্ঞানীদের মতে, যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে ২০৩৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) তাপমাত্রা অন্তত ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ম্যালেরিয়া বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি প্রদেশে রয়েছে। সেই প্রদেশগুলি হল লিম্পোপো, এমপুমালাঙ্গা এবং কোয়াজুলু-নাটাল। মোট আক্রান্তের ৬২ শতাংশই লিম্পোপোর বাসিন্দা।

গত ৫০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার বার্ষিক তাপমাত্রা বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রার তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লিম্পোপোতে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এখানে প্রতি দশকে তাপমাত্রা গড়ে ০.১২ ডিগ্রি বেড়েছে।

আরও পড়ুন:Vastu Tips For Money: টাকা রাখার আলমারি ঘরের এই দিকে মুখ করে রাখুন, হবে না অর্থকষ্ট

এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর কারণ হল ১৭-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ম্যালেরিয়া মশা এবং পরজীবীদের জন্য সেরা। ভেক্টর মশা উষ্ণ আবহাওয়ায় দ্রুত জন্ম লাভ করে, নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয় এবং ভেক্টর-বাহিত রোগ ছড়াতে পারে। আর বৃষ্টি একটু বাড়লে এসব মশার প্রজননস্থলও বেড়ে যায়। লিম্পোপোর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে, যখন প্রবল বৃষ্টি হয়, তখন ম্যালেরিয়ার বেশি ঘটনা ঘটে।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং ম্যালেরিয়ার মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। তবে চারটি বিষয় পরিষ্কার যে পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া ভেক্টর দ্রুত বিবর্তিত হবে, দ্রুত প্রজনন করবে, আরও কামড় দেবে এবং বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। এর মানে হল যে মশার লার্ভা দ্রুত বেড়ে উঠবে। স্ত্রী মশা যত তাড়াতাড়ি কামড়াবে, তত তাড়াতাড়ি রোগ ছড়াবে। মশা যদি বেশি কামড়ায় তাহলে রোগটি আরও ছড়িয়ে পড়বে।

Advertisement

মজার বিষয় হল, গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মশারা শীতল জায়গায় দীর্ঘ সময় বিশ্রামের মাধ্যমে তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে। এইভাবে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও তারা বেঁচে থাকতে পারে। মশার এই আচরণ সেই তাপমাত্রায় পরজীবীটিকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করতে পারে।

ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রেও বৃষ্টি একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সাধারণত উষ্ণ কিন্তু শুষ্ক পরিবেশে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমে যায় এবং ঠান্ডা ও ভেজা পরিবেশে বৃদ্ধি পায়। এটি সাধারণত দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলিতে দেখা যায়, যেখানে ম্যালেরিয়া ভেক্টর অ্যানোফিলিস আরাবিয়েনসিস (Anopheles Arabiensis) প্রভাবশালী। আর্দ্রতার মাত্রাও দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ার বিস্তারকে প্রভাবিত করে।

মশার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খুবই স্পষ্ট। কিন্তু ম্যালেরিয়ার বিস্তারের উপর এর প্রভাব এখনও স্পষ্ট নয়। কিছু গবেষণা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে অন্যান্য মডেলগুলি বলছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ম্যালেরিয়ার উপর কোনও প্রভাব ফেলে না। কোন মডেলটি সঠিক তা দেখতে আরও ডেটা এখনও প্রয়োজন। তবে একটা কথা আছে, এই গবেষণা দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও ভারতের অবস্থা খুব একটা আলাদা নয়।

 

Advertisement