ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ছোট দল গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে মোতায়েন রয়েছে। সেখানকার আগের সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারত সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্য সেখানে সেনা মোতায়েন করেছিল। কিন্তু এখন মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু এই সেনাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে, শনিবার মালদ্বীপে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ তাকে এয়ারলিফ্টের জন্য ভারতের দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান ব্যবহার করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল।
তথ্য অনুযায়ী, ওই বালকের ব্রেন টিউমার ছিল এবং স্ট্রোক হওয়ার পর তার অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে। এর পরে তার পরিবার তাকে গাফ আলিফ ভিলিংগিলিতে তার বাড়ি থেকে রাজধানী মলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে। মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমকে মৃতের বাবা বলেছেন, "আমরা স্ট্রোকের পরপরই তাকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইল্যান্ড এভিয়েশনকে কল করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের কলের উত্তর দেয়নি।"
অনেকের মতে, ভারত-মলদ্বীপের সংঘাতের মাশুল দিতে হল ওই বালককে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন মালদ্বীপ সরকার ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্য ইতিমধ্যেই সময়সীমা বেধে দিয়েছে। সে দেশের সরকারের ‘আর্জি’ ১৫ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে সেনা সরাতে হবে ভারতকে। তারপরই জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। সেই বৈঠকে সেনা সরানো নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে ভারতীয় সেনা মালদ্বীপে রয়েছে।