এক মহিলা জেলে এক বন্দির সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন। সেই সময়ে ওই মহিলা বন্দিকে চুমু খান। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই বন্দি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর পর এই মহিলার উপর ওই কয়েদিকে হত্যা করার অভিযোগ লাগানো হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। যা দেখে হতচকিত হয়ে গিয়েছেন ওই জেলের আধিকারিকরা এবং কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ Shanidev Gives 7 Lucky Sign: ভাল সময় আসছে, শনিদেবের এই ৭ সংকেত চিনুন, বদলে যাবে জীবন
কোথাকার ঘটনা?
এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার জেলে। যেখানে জসুয়া ব্রাউন নামে এক কয়েদি সাজা কাটছিলেন। রাচেল ডোলার্ড নামে এক মহিলা তার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন। ব্রাউনের সঙ্গে দেখা করার সময় মহিলার মুখে মেথোফিটামিন ড্রাগস ছিল। দুজনেই একে অপরকে চুম্বন করেন। এই সময়ে রাচেল তার মুখের ড্রাগস ব্রাউন এর মুখে চালান করে দেয়। এতেই ব্রাউন পুরো ড্রাগ একসঙ্গে গিলে ফেলে। ড্রাগের ওজন প্রায় ১৪ গ্রাম ছিল। ড্রাগের ওভার ডোজেই ব্রাউনের মৃত্যু হয়ে যায়। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পরে ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন, রাচেল এর ওপরে ড্রাগের চোরা কারবার এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাচেল টেনসি ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন এবং হিকম্যান কাউন্টি জেল-এ রাখা হয়েছে।
ড্রাগের মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিল মৃত ব্যক্তি
জানিয়ে দেওয়া যাক যে জসুয়া ব্রাউনকে ড্রাগের মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার ১১ বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছিল। তার ২০২৯ সালে সেই সাজা শেষ হওয়ার কথা ছিল। আধিকারিকরা অভিযোগ করেছেন যে এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে দেখা করার অছিলায় রাসেল ব্রাউন ড্রাগ দিয়েছিল রাচেল। জিজ্ঞাসাবাদে রাচেল বিষয়টি স্বীকারও করেছে। এই ঘটনার পর টেনেসি ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশন একটি বিবৃতি জারি করেছে। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হচ্ছে। ওই সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার আগে যে কোনও জিনিস রেখে তারপর জেলে প্রবেশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।