ইউক্রেনের বড়সড় ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া। যার ফলে রবিবার ইউক্রেনের ৪ জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর।
এ দিন ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আক্রমণ শাণায় রাশিয়া। গত মাসের পর এটাই রাশিয়ার সবথেকে বড় হামলা। সেবার রাশিয়ার অ্যাটাকে প্রাণ হারিয়েছিল ২১ জন। আর এ দিনের বলি ৪।
প্রাণ হারিয়েছে ১ নাবালিকা
রাশিয়ার হামলায় এ দিন প্রাণ হারায় এক ১২ বছরের নাবালিকা। এছাড়া ১০ জন আহত বলেও জানিয়েছে কিভ শহরের অ্যাডমিনিস্টেটর তিমুর তাচেঙ্কো।
তাঁর অভিযোগ, এ দিন জনবহুল এলাকায় ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এই হামলার পর শহরের সিটি সেন্টারের কাছ থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। আর এই হামলার ফলেই ১০ জন আহত এবং ৪ জন প্রাণ হারায়।
৫৯৫টি এক্সপ্লোসিভ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া
ইউক্রেনের এয়ার ফোর্সের তরফে খবর, এ দিন ৫৯৫টি এক্সপ্লোসিভ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের দিকে হামলা চালায় রাশিয়া। পাশাপাশি ৪৮টি মিসাইল নিক্ষেপ করে কিভের দিকে।
এমতাবস্থায় ৫৬৬টি ড্রোনকে আটকে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ৪৫টি মিসাইলকেও আঘাত হানার আগেই রুখে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি জানান, কিভ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গাকে এ দিন টার্গেট করেছিল রাশিয়া। যার ফলে সারা দেশে ৪০ জনের বেশি আহত।
রাশিয়া নিজের রূপ দেখাল
এ দিন রাশিয়া সম্পর্কে নতুন করে ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলেনেস্কি। তাঁর মতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি উইক-এর শেষে এই হামলাই রাশিয়ার আসল রূপ সামনে এনে দিল। মস্কো যে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, সেটা এই আচরণে স্পষ্ট বলে মনে করেন তিনি। তাই জেলেনেস্কি পৃথিবীর সমস্ত দেশকে এই যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করার পক্ষে সওয়াল করেন।
হাসপাতাল ও স্কুলকেও করা হয় টার্গেট
কিভের তরফে জানান হয়েছে, এ দিন হাসপাতাল থেকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলকেও টার্গেট করেছিল রাশিয়া। যার ফলে ইউক্রেনের রাজধানীর প্রায় ২০টি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রতি আক্রমণের বার্তা দিয়ে রেখেছে ইউক্রেন
রাশিয়ার এই আক্রমণের পর চুপ করে বসে থাকবে না ইউক্রেন। বরং তাঁরাও সুযোগ পেলেই হামলা চালাবে বলে জানানো হয়েছে। দেশের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে সাইবা হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, 'রাশিয়ার উপর আক্রমণ আরও বাড়াতে হবে।'
তাই এটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে এখনই এই যুদ্ধ থামবার নয়। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে গেলেও যেতে পারে।