কিংবদন্তি বক্সার মাইক টাইসন দীর্ঘ ১৯ বছরের বিরতি শেষে ১৫ নভেম্বর রিংয়ে ফিরে আসেন। প্রতিপক্ষ ছিলেন ২৭ বছর বয়সী বক্সার জেক পল। কিন্তু টাইসনের এই প্রত্যাবর্তন সহজ ছিল না। শারীরিক সংকটের কারণে তার লড়াই স্থগিত হয় এবং প্রায় মৃত্যুর সম্মুখীন হন।
আলসারের কারণে লড়াই স্থগিত
মূলত, এই লড়াই ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৬ মে, একটি ফ্লাইট চলাকালীন, টাইসন আলসারের প্রকোপ অনুভব করেন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর ছিল যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং আটবার রক্ত সঞ্চালন করতে হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন, তিনি তার শরীরের ২৫ পাউন্ড ওজন হারান এবং প্রশিক্ষণে ফিরতে হলে শূন্য থেকে শুরু করতে বাধ্য হন।
টাইসন নিজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে বলেন, "জুনে আমি প্রায় মারা গিয়েছিলাম। পুরো পুনরুদ্ধারের জন্য আমাকে লড়াই করতে হয়েছে। আমি সেই অভিজ্ঞতার জন্য কৃতজ্ঞ।"
টাইসন বনাম পল: লড়াইয়ের হাইলাইটস
নভেম্বরের ম্যাচে টাইসন প্রাথমিক রাউন্ডে শক্তিশালী শুরু করেন। তিনি জেক পলকে দড়ির উপর নিয়ে যেতে সক্ষম হন এবং তার বিখ্যাত শক্তি প্রদর্শন করেন। কিন্তু তার শারীরিক ক্লান্তি ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
প্রথম দুই রাউন্ডে টাইসনের আধিপত্য দেখা যায়। তৃতীয় রাউন্ডে, পল তার ছন্দ খুঁজে পেতে শুরু করেন এবং টাইসনের গতি কমে যায়। পলের ট্রিপল জ্যাব টাইসনকে কাঁপিয়ে দেয়। ম্যাচ শেষে পল তার তরুণ শক্তি এবং কৌশলের মাধ্যমে লড়াইয়ে এগিয়ে যান।
টাইসনের আত্মবিশ্বাস এবং প্রত্যাবর্তনের গল্প
টাইসন এই লড়াইয়ের মাধ্যমে শুধু নিজের শারীরিক সক্ষমতা নয়, তার মানসিক দৃঢ়তাও প্রমাণ করেছেন। ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি হেরে গিয়েও জিতেছি। আমার সন্তানেরা দেখেছে আমি কীভাবে আমার অর্ধেক বয়সী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করেছি। এটি আমার জীবনের অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা।"
Netflix ডকুসারিজ "Countdown: Paul vs Tyson"-এ টাইসনের এই সংগ্রাম ও পুনরুদ্ধারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা তার ভক্তদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।